উচ্ছেদ নিয়ে ফের উত্তেজনা শিল্পাঞ্চলে

সংবাদ সফর, দুর্গাপুর: উচ্ছেদ নিয়ে অনড় রেল প্রশাসন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ফের উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হল শিল্পাঞ্চলে। মঙ্গলবার দুর্গাপুর নগর নিগমের ৩০ নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত আম্বেদকর কলোনিতে রেলের কর্তাব্যক্তিরা পৌঁছতেই উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। খবর পেয়ে এলাকায় ছুটে আছেন দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ ঘোড়ুই, জেলা বিজেপি সহ-সভাপতি চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায় সহ দলের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। এদিকে, পুনর্বাসন ছাড়া উচ্ছেদের বিরোধিতায় সুর চড়াতে থাকেন আম্বেদকর কলোনি সিনেমা হল রোড রেল বস্তি এলাকার মানুষজন। যদিও স্থানীয় বিধায়ক সহ বিজেপি নেতৃত্ব ও রেলকর্তাদের আশ্বাসে পরিস্থিতি কিছুটা ঠান্ডা হয়।
উল্লেখ্য, ফ্রেট করিডরের জন্য দখলিত রেলের জমি পুনরুদ্ধারের কাজ শুরু হয়েছে। সেই মোতাবেক দুর্গাপুরের আম্বেদকর কলোনি সহ বিভিন্ন এলাকায় জমি চিহ্নিতকরণ সহ তা উদ্ধারে তৎপরতা শুরু করেছে সংশ্লিষ্ট রেল কর্তৃপক্ষ। এর আগেও এসব নিয়ে জট জটিলতা তৈরি হয়। রেলের সম্প্রসারণের কাজে সহমত প্রকাশ করলেও পুনর্বাসনের দাবিতে সরব হন ওই সব এলাকার বাসিন্দারা। সোমবার রীতিমতো মাইকিং করে ৩০ নং ওয়ার্ডের আম্বেদকর কলোনি, গোপীনাথপুর, বীরভানপুর মৌজার বাসিন্দাদের সতর্ক করা হয়। একইসঙ্গে মঙ্গলবারের মধ্যে দখলীকৃত রেলের জায়গা ছেড়ে দেওয়ার বার্তা দেওয়া হয় সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের তরফে। কিন্তু মঙ্গলবার আম্বেদকর কলোনিতে রেলকর্তারা পৌঁছতেই উত্তেজনা ছড়ায়।
খবর পেয়ে বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ ঘোড়ুই, জেলা বিজেপি নেতা চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায় ঘটনাস্থলে পৌঁছান। এ ব্যাপারে তার বক্তব্য, উচ্ছেদ নিয়ে আসানসোল ডিভিশনের ডিআরএমের সঙ্গে গত বছরের ডিসেম্বরে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও রেল প্রশাসনের তরফে এসব নিয়ে মাইকিং সহ অতি তৎপরতার অভিযোগে কার্যত উষ্মাপ্রকাশ করেন বিধায়ক। একইসঙ্গে স্থানীয় মানুষজনদের পুনর্বাসন নিয়েও সরব হন তিনি। সেক্ষেত্রে রাজ্য সরকার জমি দিলে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষজনেদের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় বাড়ি বানিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। একইসঙ্গে এ ব্যাপারে দুর্গাপুর নগর নিগম সহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সহযোগিতার আবেদন জানান বিধায়ক। তার কথায়, সংশ্লিষ্ট রেল প্রশাসন, স্থানীয় প্রতিনিধিদের নিয়ে জমি জরিপের কাজ শুরু হবে। ফ্রেট করিডর বা রেলের সম্প্রসারণ প্রকল্প রূপায়নের পাশাপাশি স্থানীয় মানুষজনদের স্বার্থ সুরক্ষায় সব রকম প্রচেষ্টা চালানো হবে বলে কার্যত আশ্বাস দেন বিধায়ক।
এ ব্যাপারে রেলের এসিস্ট্যান্ট ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার বলেন, এ ব্যাপারে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে এক প্রস্থ আলোচনা হয়েছে। তাদের তরফে সব রকমের সহযোগিতা মিলছে। তবে পুনর্বাসন নিয়ে তার মত, রেলের জমি ছাড়া অন্য কোন জমি অধিগ্রহণ হলে পুনর্বাসন সম্ভব। অন্যথায় নয়। সেক্ষেত্রে সব পক্ষের সহমতের ভিত্তিতেই রেলের সম্প্রসারণে কাজ শুরু হবে বলে জানান তিনি।