জেলা

প্রমোশন না কি নির্বাসন? মলয়ের দায়িত্বপ্রাপ্তিতে জল্পনা দলেই

সংবাদ সফর, আসানসোল: রাজনৈতিক নির্বাসন? না কি দলনেত্রীর আস্থা, ভরসার স্বীকৃতি পেলেন মলয়। রবিবার তৃণমূলের তরফে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি ঘিরে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। কিন্তু সব জল্পনার অবসান অস্বীকার দলের দুর্দিনের নেতা হিসেবে মলয়ের ওপর আস্থার কারণেই এই স্বীকৃতি বলে দাবি করেছে শাসক নেতৃত্ব। ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, অসমের দায়িত্ব দেওয়া হল মন্ত্রী মলয় ঘটককে। রবিবার তৃণমূলের একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটককে অসমে দলের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দলনেত্রীর নির্দেশেই এই সিদ্ধান্ত। সেক্ষেত্রে মলয় ঘটকের পদোন্নতি বলে মনে করছেন মন্ত্রী অনুগামীরা সহ অনেকেই। একইসঙ্গে তাদের দাবি, এ ধরনের মলয়ের পদোন্নতিতে আগামীদিনে বিপাকে পড়বেন বর্তমান ক্ষমতাসীনগোষ্ঠী। যদিও তৃণমূলের একাংশের বক্তব্য, রাজ্য-রাজনীতি থেকেই সুকৌশলে তাকে অসমে পাঠানো হয়েছে।

বলাই বাহুল্য, সম্প্রতি হার্টের অস্ত্রোপচার করে ফিরেছেন রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক। ঠিক তারপরেই তার ওপর অসমের দায়িত্ব পড়ল। উল্লেখ্য, রাজ্যে তৃণমূলের রমরমা হলেও পার্শ্ববর্তী অসম, ত্রিপুরাতে দলের হাঁড়ির হাল হয়েছে। সুস্মিতা দেব সহ রিপুণ ভোরা- কেউই দলকে শক্তিশালী করতে পারেননি। গত লোকসভা নির্বাচনে এই রাজ্যের চারটি আসনেই মুখ থুবড়ে পড়ে তৃণমূল। তাই এবার দলকে মজবুত করতে মলয়েই ভরসা রাখলেন মমতা। এমনই দাবি শাসক নেতৃত্বের। কিন্তু প্রকাশ্যে মুখ না খুললেও জেলার মলয় বিরোধী গোষ্টী এ ঘটনাকে রাজনৈতিক নির্বাসন হিসেবেই ব্যাখ্যা করছেন। তাদের মতে, জেলায় অপূর্ব মুখোপাধ্যায়, তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় সহ বেশ কিছু নেতাকে কৌশলে নির্বাসনে পাঠানো হয়েছে। সেখানে একেবারে অরাজনৈতিক মুখ হিসেবে কবি দত্তের মতো ব্যবসায়ীদের অনুপ্রবেশ ঘটেছে তৃণমূলে। এবার মন্ত্রী মলয় ঘটকেরও একই হাল হল। সেক্ষেত্রে বর্তমান ক্ষমতাসীন নরেন গোষ্টীকেই প্রাধান্য দিতেই দলের শীর্ষ নেতৃত্বের এই সিদ্ধান্ত বলে মত তাদের।

তবে এ ধরনের জল্পনার প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক ভি শিবদাশন দাশু। তার কথায়, দলের প্রথমদিন থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সঙ্গে রয়েছেন মলয় ঘটক। দক্ষ সংগঠক হিসেবে তার কোনও জুড়ি নেই। সেক্ষেত্রে অসমের দলের দায়িত্ব প্রাপ্তিকে প্রমোশন বলেই উল্লেখ করেন তিনি। একইসঙ্গে এসব নিয়ে জল্পনা নিয়ে তার বক্তব্য, হাল আমলের নেতানেত্রীরা প্রায় সকলেই মলয় ঘটকের হাত ধরেই তৃণমূলে এসেছেন। বর্তমানে তাদের বাড়বাড়ন্ত হয়েছে ঠিকই, কিন্তু দলের সূচনা পর্ব থেকেই দলনেত্রীর আস্থাভাজন মলয় ঘটক। সেদিনও ছিলেন, আজও রয়েছেন। সেক্ষেত্রে তাকে নিয়ে জল্পনায় জল ঢালার পাশাপাশি বর্তমান ক্ষমতাসীন গোষ্টীর বিরুদ্ধে মৃদু কটাক্ষও করেন রাজ্য তৃণমূল সম্পাদক ভি শিবদাসন দাশু।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button