মুখ্যমন্ত্রীর নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও বেআইনি বালি কারবার কুলটিতে!

সংবাদ সফর, আসানসোল: বেআইনি বালি কারবার বন্ধ করা যায়নি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাজারও নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও কাজের কাজ কিছু হয়নি। কুলটি থানার সাঁকতোরিয়া ফাঁড়ি এলাকার বিভিন্ন ঘাটে অবৈধ বালি তোলার ছবির পরিপ্রেক্ষিতে এমন অভিযোগ উঠতেই পারে। সাঁকতোড়িয়া ফাঁড়ি এলাকার ডিসেরগড় ঘাট, হাতনল, রক্তানদীর ঘাট থেকে বালি তোলার ছবি ধরা পড়েছে সংবাদ প্রতিনিধিদের ক্যামেরায়। তবে এখন বালি তোলা বা পাচারের কাজে বড় গাড়ি বা ডাম্পার ব্যবহার করা হচ্ছে না। তার বদলে ময়দানে নামানো হয়েছে ছোট গাড়ি বা টেম্পু। সেক্ষেত্রে বেআইনি বালি পাচারের কৌশল বদল করা হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকেই। কিন্তু প্রশ্ন একটাই- পুলিশ বা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নজর এড়িয়ে এ ধরনের কাজ কারবার চলছে কীভাবে? মুখ্যমন্ত্রীর কড়া নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও কাদের মদতে বালি পাচারকারীরা এ ধরনের কালা কারবার চালিয়ে যাচ্ছেন?
বলাই বাহুল্য, জেলায় বালি, কয়লা, লোহার বেআইনি কাজ কারবারের অভিযোগে প্রতিনিয়ত সুর চড়াচ্ছেন বিরোধীরা। সেক্ষেত্রে পুলিশ প্রশাসন সহ শাসকদলের একাংশের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন তারা। কিন্তু পরিস্থিতি বদল হচ্ছে কই? সপ্তাহখানেক আগে এ ধরনের কাজ কারবারের অভিযোগে নবান্নে পুলিশের শীর্ষকর্তাদের উপস্থিতিতে ক্ষোভপ্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে বেশ কয়েকজন থানা আধিকারিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হয়। এমনকি এসবের অভিযোগে তৃণমূলের বেশ কয়েকজন নেতাকেও পাকড়াও করে পুলিশ। কিন্তু তাতেও যে এ ধরনের কাজ কারবারে পুরোপুরি রাশ টানা যায়নি- সাঁকতোড়িয়া ফাঁড়ির অন্তর্গত বিভিন্ন ঘাট থেকে বালি তোলার দৃশ্য সেটাই প্রমাণ করে। তবে এ ধরনের খবরের প্রতিক্রিয়ায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট পুলিশকর্তারা। সেক্ষেত্রে বেআইনি বালি পাচার বন্ধে কতটা সক্রিয় হয় পুলিশ বা সংশ্লিষ্ট প্রশাসন- সেটাই এখন দেখার বিষয়।