উচ্ছেদ ঘিরে তৃণমূল-বিজেপি রাজনৈতিক কাজিয়া চরমে

সংবাদ সফর, দুর্গাপুর: ফের উচ্ছেদ ঘিরে উত্তেজনা চরমে উঠল। বৃহস্পতিবার দুর্গাপুর রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন আম্বেদকর কলোনি সহ আশপাশের এলাকায় লোকলস্কর নিয়ে পৌঁছে যান রেল কর্তারা। বুলডোজার নিয়ে ভাঙচুর শুরু হতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। আরপিএফ সহ উচ্ছেদ অভিযানকারী দলের সদস্যদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন কলোনির বাসিন্দারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন প্রাক্তন বিধায়ক তথা তৃণমূল নেতা বিশ্বনাথ পাড়িয়াল। উচ্ছেদের বিরুদ্ধে স্থানীয়দের সমর্থনে সরব হন তিনি। এমনকি দখলীকৃত জমির সত্ত্ব নিয়েও প্রশ্ন তোলেন প্রাক্তন বিধায়ক।
তার বক্তব্যের সমর্থনে তিনি জানান, রেলের জমি হিসেবে চিহ্নিত আম্বেদকর কলোনি সহ আশপাশের এলাকা রেলের জমি হিসেবে চিহ্নিত হলেও এই জমি ডিভিসি ও বনবিভাগের আওতাধীন। প্রয়োজনীয় কাগজপত্রও রয়েছে। সেক্ষেত্রে জমির সত্ত্ব নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত উচ্ছেদ করা যাবে না। একইসঙ্গে পুনর্বাসনের দাবিতেও সরব হন তিনি। বৃহস্পতিবার স্থানীয় বিজেপি বিধায়কের নির্দেশক্রমে এই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তৃণমূল নেতার তথা প্রাক্তন বিধায়ক বিশ্বনাথ পাড়িয়াল। সেক্ষেত্রে জনস্বার্থ বিসর্জন দিয়ে রেলের দালালি করা মেনে নেওয়া যাবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
তবে এর জবাবে বর্তমান বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ ঘড়ুইয়ের বক্তব্য, দালালি, তোলাবাজি তৃণমূলের কালচার। অযথা উস্কানি দিয়ে এলাকা উত্তপ্ত করার চেষ্টা করছে তৃণমূল নেতৃত্ব। এলাকার মানুষজনের স্বার্থ সুরক্ষিত রেখেই উন্নয়নের কাজ হবে। এ ব্যাপারে এলাকার মানুষজনের সঙ্গে বৈঠকের পরিপ্রেক্ষিতে সম্মতিও মিলেছে বলে দাবি করেন তিনি। তবে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন প্রসঙ্গে বিজেপি বিধায়কের মত, জমি দিতে হবে রাজ্যকে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় বাড়ি বানিয়ে দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। তবে এসবের পাশাপাশি তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন বিজেপি বিধায়ক। ওই সব এলাকার গরিব মানুষদের বঞ্চিত করে রোহিঙ্গাদের জায়গা জমি দেওয়া হচ্ছে বলেও সরব হন তিনি। যাইহোক, সব মিলিয়ে পরিস্থিতির চাপে এদিনের মত উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ করতে বাধ্য হন রেল প্রশাসনের আধিকারিকরা।