শিল্পাঞ্চল

পুলিশ হেফাজতে সপুত্র তৃণমূল নেতা

সংবাদ সফর, দুর্গাপুর: জামিন মেলেনি। পুত্র সহ প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলরকে পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। বুধবার ধৃতদের আদালতে তোলার সময় বিজেপির কর্মী সমর্থকদের ‘চোর চোর’ স্লোগানে মুখরিত হয় আদালত চত্বর। উল্লেখ্য, লক্ষ লক্ষ টাকার আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে দুর্গাপুর নগর নিগমের ৩২ নং ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর মানস রায় ও তার পুত্র অভ্রনীল রায়কে গ্রেফতার করে দুর্গাপুর থানার পুলিশ। অভিযোগ, মনোজ কুমার সাউ নামের এক ব্যবসায়ীর কাছে লক্ষাধিক টাকার মোবাইল, ল্যাপটপ কিনেছিলেন তারা। একইসঙ্গে মহম্মদ আসিফ নামের এক ব্যক্তির কাছে প্রায় সাড়ে আট লক্ষ টাকা মূল্যের গাড়ি কিনেছিলেন মানস রায় ও তার পুত্র অভ্রনীল রায়। প্রতিক্ষেত্রেই বিক্রেতাদের একাধিক চেক প্রদান করেন তারা। কিন্তু সব চেকই বাউন্স করে। কিন্তু পরবর্তীতে বকেয়া টাকা মেটানোর কোন আগ্রহ দেখাননি ওই তৃণমূল নেতা তথা প্রাক্তন কাউন্সিলর মানস রায়। শেষমেশ টাকা আদায়ে আইনের দ্বারস্থ হন মনোজ সাউ, আসিফরা। প্রসঙ্গক্রমে বলে রাখা ভালো, রাজ্যের মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার ও সাংসদ কীর্তি আজাদের নাম করেও বেআইনিভাবে টাকা তোলার অভিযোগ রয়েছে মানস রায়ের বিরুদ্ধে। সব মিলিয়ে আপাতত আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে শ্রীঘরে ঠাঁই হয়েছে সপুত্র প্রাক্তন কাউন্সিলরের। যদিও এসবের সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক যোগ নেই বলে দাবি পুলিশের। কিন্তু শাসকদলের ক্ষমতা, প্রভাব ছাড়া এ ধরনের কাজ কারবার একেবারেই অসম্ভব বলে মত অধিকাংশের। এদিকে, এসব নিয়ে ময়দানে নেমে পড়েছে বিরোধী বিজেপি নেতৃত্ব। বুধবার মানস রায় ও তার পুত্র অভ্রনীল রায়কে আদালতে তোলার মুখে পুলিশের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন দলের কর্মী সমর্থকেরা। চটি হাতে ‘চোর চোর’ স্লোগানে মুখরিত হয় আদালত চত্বর। তবে কোন রাকঢাক না করে ধৃত তৃণমূল নেতা মানস রায়ের ব্যক্তিগত চরিত্র ও সততা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন খোদ জেলা তৃণমূল সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। একইসঙ্গে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের পক্ষে সওয়াল করেছেন তিনি। বুধবার ধৃত তৃণমূলের প্রাক্তন কাউন্সিলর মানস রায় ও তার পুত্র অভ্রনীল রায়কে দুদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে দুর্গাপুর মহকুমা আদালত।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button