নারী সংবর্ধনায় জেলা তৃণমূল কংগ্রেস

সংবাদ সফর, দুর্গাপুর: রাজ্যের মহিলাদের সার্বিক উন্নয়নে কাজ করে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লক্ষীর ভান্ডার, কন্যাশ্রী, রূপশ্রীর মতো প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলার মা-বোনেদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। শনিবার আন্তর্জাতিক নারী দিবসের সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষে সিটি সেন্টারের সৃজনী প্রেক্ষাগৃহে এমনই মন্তব্য করেন রাজ্যের পঞ্চায়েত গ্রামোন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার। পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেস আয়োজিত নারীদের সম্মাননা জ্ঞাপন অনুষ্ঠানে ভারতীয় ধর্ম ও সংস্কৃতিতে নারীদের গুরুত্ব বিষয়ে বিশদ ব্যাখ্যা করেন তৃণমূল সাংসদ কীর্তি আজাদ। এদিন, উত্তরপ্রদেশ,মহারাষ্ট্র সহ বিভিন্ন বিজেপি শাসিত রাজ্যের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বাংলায় মহিলাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগ ও কর্মকুশলতার প্রশংসা করেন জেলা মহিলাদের তৃণমূল সভানেত্রী অসীমা চক্রবর্তী। একইসঙ্গে জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর তরফে আন্তর্জাতিক নারী দিবসে নারীদের সম্মাননা জ্ঞাপনের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান তিনি। প্রায় একই সুর শোনা যায় রাখি তিওয়ারি সহ অন্যান্যদের বক্তব্যেও। শনিবার সৃজনী প্রেক্ষাগৃহে এই অনুষ্ঠানে রাজনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য, সাংবাদিকতা সহ সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত ও প্রশংসিত মহিলাদের সম্মাননা জ্ঞাপন করা হয়। এই তালিকায় দুর্গাপুর নগর নিগমের মুখ্য প্রশাসক অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায়, জেলা পরিষদ সদস্য অনুভা চক্রবর্তী সহ নিউজ পেপার এডিটরস গিল্ডের সভাপতি মুনমুন দত্ত, সাংবাদিক মহুয়া ঘোষাল সহ সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর্মরত আরো অনেককেই অনুষ্ঠান মঞ্চে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। শনিবার সিটি সেন্টার সৃজনী প্রেক্ষাগৃহে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিশ্বনাথ বাউরি, জেলা আইনটিটিইউসি সভাপতি অভিজিৎ ঘটক, দুর্গাপুর বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি দেবব্রত সাঁই সহ অন্যান্যরা। এদিন, এই অনুষ্ঠান ঘিরে তৃণমূল মহিলা কর্মী সমর্থকদের উপস্থিতি ও উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো।