দূষণবিরোধী আন্দোলনে পুলিশের ভূমিকায় ক্ষোভ জনমানসে

সংবাদ সফর, দুর্গাপুর: জামিন হল না ধৃতদের। বৃহস্পতিবার দূষণ বিরোধী আন্দোলনকারী ধ্রুবজ্যোতি মুখোপাধ্যায় সহ ১০ জনকে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়। কিন্তু জামিন মেলেনি তাদের। সেক্ষেত্রে স্রেফ সাজানো মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে দাবি করেন ধৃতদের আইনজীবী। এদিন, ধৃতদের আদালতে তোলার সময় চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। উল্লেখ্য, বুধবার দূষণের বিরুদ্ধে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের দপ্তরের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভের ডাক দেন ধ্রুবজ্যোতি মুখোপাধ্যায় সহ দুর্গাপুর নগর নিগমের ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত গোপালমাঠ গ্রামের মানুষজন। কিন্তু একেবারে আন্দোলন শুরুর মুখে একপ্রকার জোর জবরদস্তি করে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এমনকি সিভিক ভলেন্টিয়ারদের দিয়ে টেনে হিঁচড়ে গাড়িতে তোলা হয় বলে অভিযোগ। মিহির পাল নামের সত্তোরর্ধ্ব এক বৃদ্ধকেও রেওয়াত করা হয়নি। সেক্ষেত্রে সাজানো মামলায় এ ধরনের গ্রেফতারিতে আদালতের নিয়ম নীতি লঙ্ঘন করেছে পুলিশ বলে সরাসরি অভিযোগ করেন ধৃতদের আইনজীবী অলক ঘোষ। তার কথায়, গোপাল মাঠ লাগোয়া বিড়লা গোষ্ঠীর সিমেন্ট কারখানার জনৈক আধিকারিকের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ধ্রুবজ্যোতি মুখোপাধ্যায়ের সহ অন্যান্যদের গ্রেফতার করা হয়। সেক্ষেত্রে ওই অভিযোগে ২০২৩ সালের একটি মামলার উল্লেখ করা হয়েছে বলে জানান অলকবাবু । ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৩২৯বি, ৩০৮-র ২,৩,৪ সহ ৩৫১-র ২ ও ৬১-র ২ উপধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি অর্থাৎ আগামী ২৪ মার্চ ফের জামিনের আবেদন করা হবে বলে জানান তিনি। তবে আইন বিধি মেনে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে পরবর্তীতে আদালতের নির্দেশ মেনে তদন্ত চলবে বলে এসিপি দুর্গাপুর সুবীর রায় জানান। এদিকে, দূষণের বিরুদ্ধে আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে ধ্রুবজ্যোতি মুখোপাধ্যায় সহ অন্যান্যদের গ্রেপ্তারির প্রতিবাদে সরব হয়েছেন এলাকার মানুষজন। সেক্ষেত্রে তাদের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র করা হয়েছে বলেও অভিযোগ তাদের। উল্লেখ্য, দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশনের ডিএসটিপিএস সহ গোপালমাঠ, অন্ডাল লাগোয়া বিড়লা গোষ্ঠীর একটি সিমেন্ট কারখানার দূষণের অভিযোগে অবস্থান ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিলেন ধ্রুবজ্যোতি মুখোপাধ্যায়রা। এ ব্যাপারে আন্দোলনের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক দপ্তরেও জানানো হয় বলে খবর মেলে। কিন্তু শান্তিপূর্ণ আন্দোলন সত্বেও যেভাবে তাদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ, তা নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে শিল্পাঞ্চলে।