সংবাদ সফর, দুর্গাপুর,২৬ এপ্রিল: রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে বিরোধীদের সমালোচনা শেষ নেই। কিন্তু এসবের মধ্যেও এসবের মধ্যেও উন্নত হাসপাতালের কেন্দ্রীয় স্বীকৃতি আদায় করে নিল দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতাল। দেশের উন্নত হাসপাতালের তালিকায় দুর্গাপুরের এই সরকারী মহকুমা হাসপাতালও স্থান করে নিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে এই স্বীকৃতি তারই প্রমান। শনিবার এমনই দাবি করেন রাজ্যের পঞ্চায়েত, গ্রামোন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার। পরিকাঠামো সহ চিকিৎসা পরিষেবার গুণগত মান বিচারে মহকুমা হাসপাতালেই স্বীকৃতি পেয়েছে বলে জানান রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান কবি দত্ত। এদিন, হাসপাতালে উন্নত অপারেশন থিয়েটারের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সাংবাদিক সম্মেলনে কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য দফতরের তরফে বিশেষ সম্মান প্রাপ্তির কথা জানান হাসপাতালের সুপার ডাঃ ধীমান মন্ডল। তার কথায়, কেন্দ্রীয় সরকারের ন্যাশন্যাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সংক্ষেপে এনকিউএএস- এর মূল্যায়নে এই হাসপাতাল ৮৭ শতাংশ নম্বর পেয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য দফতরের তরফে এক সপ্তাহ ধরে হাসপাতালের সার্বিক কাজকর্ম নিয়ে সমীক্ষা করা হয়েছিল। তারই পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রের স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে এই সম্মান লাভ করেছে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতাল হাসপাতাল বলে জানান সুপার। সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যের মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার দেশের প্রথম শ্রেণীর হাসপাতালগুলির তালিকায় দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের নাম নথিভূক্ত হওয়ায় সন্তোষ ব্যক্ত করেন। রোগী কল্যাণ সমিতি তথা এডিডিএ-র চেয়ারম্যান কবি দত্তের কথায় , পরিকাঠামো সহ চিকিৎসা পরিষেবা ও পরিচ্ছন্নতার দিক থেকে হাসপাতালের ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করা হয়েছে। উন্নত হাসপাতালের কেন্দ্রীয় স্বীকৃতিতে তা প্রমানিত হয়েছে। সেক্ষেত্রে এ ধরনের স্বীকৃতি প্রাপ্তিতে চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্য সহ হাসপাতালের কর্মীদের ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন তিনি। উল্লেখ্য, মহকুমা হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারের সংস্কারের কাজ শুরু হয়। শনিবার নতুনভাবে সাজানো অপারেশন থিয়েটারেরও উদ্বোধন করা হয়। শিল্পাঞ্চলের বেসরকারী একটি ইস্পাত সংস্থার পক্ষ থেকে ১৫ লক্ষ টাকার আর্থিক অনুদানে সংস্কারের কাজ শুরু হয়। কিছুদিন আগে এই কাজ সম্পূর্ণ হয়। নবরূপে সজ্জিত এই অপারেশন থিয়েটারের প্রয়োজনে আধুনিক যন্ত্রও বসানো হয়েছে বলে জানান হাসপাতাল সুপার ডাঃ ধীমান মন্ডল। বলাই বাহুল্য, দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের পরিকাঠামো সহ চিকিৎসা পরিষেবার সার্বিক মানোন্নয়নে বিশেষ উদ্যোগ নেন রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান কবি দত্ত। বিভিন্ন বেসরকারি শিল্পপতি ও ব্যবসায়ীদের আর্থিক অনুদানে হাসপাতালের বহির্বিভাগ, বিভিন্ন ওয়ার্ডের শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধি, বিভিন্ন ইউনিটের সংস্কার সাধন সহ রোগী ও তাদের পরিবার পরিজনদের বিশেষ পরিষেবা প্রদানের লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তিনি। হাসপাতালের উন্নয়নে তার কর্মকাণ্ড প্রশংসিত হয়েছে বিভিন্ন মহলে। সেক্ষেত্রে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের কেন্দ্রীয় স্বীকৃতি লাভে তার উদ্যোগ সফল হয়েছে- একথা বলার অপেক্ষা রাখে না।
