ড্রেজিং নিয়ে কেন্দ্রের গড়িমসির অভিযোগে মন্ত্রী

সংবাদ সফর, দুর্গাপুর, ২০, জুন: রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রের আর্থিক বঞ্চনার অভিযোগে সরব হলেন মন্ত্রী। একইসঙ্গে শুক্রবার দুর্গাপুর ব্যারেজ পরিদর্শনে এসে দামোদরের বিভিন্ন জলাধারের ড্রেজিং নিয়ে কেন্দ্রের গড়িমসির অভিযোগের কথাও শোনা যায় রাজ্যের সেচমন্ত্রী ডাঃ মানস ভুঁইয়ার কথায়। তার বক্তব্যের সমর্থনে মন্ত্রী জানান, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন জলাধারের ড্রেজিং নিয়ে দফায় দফায় কেন্দ্রের কাছে দরবার করেছেন। গত ১২ বছর ধরে প্রধানমন্ত্রী, জলসম্পদ মন্ত্রক থেকে শুরু করে ডিভিসি সহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন তিনি। কিন্তু তাতেও কাজের কাজ কিছু হয়নি। সেক্ষেত্রে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে নদনদীর ড্রেজিং নিয়ে গড়িমসির অভিযোগে সরব হন মন্ত্রী। তার কথায়, এসবের ফলে বিভিন্ন জলাধার সহ নদনদীর জল ধারণ ক্ষমতা কমছে। ফলে ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষজনকে বলে প্রকারান্তরে জানান মন্ত্রী মানস ভূঁইয়া। একইসঙ্গে এদিন, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে চরম আর্থিক বঞ্চনার অভিযোগেও সুর চড়ান তিনি। মন্ত্রী বলেন, গত ২০১৫ সাল থেকে আর্থিক দিক থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে বাংলাকে। কিন্তু তা সত্ত্বেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় রাজ্যের উপার্জিত আয় থেকে বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক প্রকল্প রূপায়িত করা হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি। শুক্রবার রাস্তা মেরামতির জন্যে দামোদরে সঞ্চিত জল ছাড়ার ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বনের উপর জোর দেন মন্ত্রী। সেক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে প্রশাসনকে নির্দেশ দেন তিনি। একইসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, রাজ্যের বিভিন্ন জেলাসহ পার্শ্ববর্তী রাজ্যের প্রবল বৃষ্টিপাতের কথা মাথায় রেখে পাঞ্চেত, মাইথন, দুর্গাপুর সহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় সাধন করে কাজ চালানো হচ্ছে। বর্ধমান হাওড়া, হুগলি সহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় বন্যা বা প্লাবন এড়াতে জেলা সহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা সতর্ক নজরদারি রেখেছে বলেও জানান রাজ্যের মন্ত্রী। দুর্গাপুর ব্যারেজের ১ নং লকগেটের সার্বিক সংস্কার নিয়েও সাংবাদিকদের আশ্বস্ত করেন তিনি। তবে দলের জনপ্রতিনিধিদের তরফে দুর্গাপুর ব্যারেজে বিকল্প সেতু নির্মাণের বিষয়ে তেমন কোনও আশার কথা শোনা যায়নি মন্ত্রীর মন্তব্যে।