খেলার মাঠ বাঁচাতে বিধায়কের প্রতিবাদের সমর্থনে ক্রীড়াপ্রেমীরা

সংবাদ সফর, দুর্গাপুর, ১৯,জুলাই: সভার নামে খেলার মাঠ নষ্ট! অভিযোগে অভিনব প্রতিবাদে নামেন বিধায়ক। শনিবার পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক তথা জেলা তৃণমূল সভাপতি তৃণমূল সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর প্রতিবাদের পক্ষে কণ্ঠ মেলালেন দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন ক্রীড়া সংগঠনের প্রতিনিধি সহ ক্রীড়াপ্রেমীরা। উল্লেখ্য, গত শুক্রবার ১৮ জুলাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সভা করেন ইস্পাত নগরীর নেহেরু স্টেডিয়ামে। কিন্তু বৃষ্টি সহ জলকাদায় মেহেরু স্টেডিয়ামের খেলার মাঠের চেহারাটাই বদলে যায়। এসবেরই প্রতিবাদে এদিন সেখানে ধানের চারা পুঁতে প্রতিবাদ জানান বিধায়ক তথা জেলা তৃণমূল সভাপতি। এই ছবি বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই প্রতিবাদে সরব হন ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়াপ্রেমীরা। ক্রীড়াক্ষেত্রকে বাঁচাতে তার এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান তারা। শনিবার দুর্গাপুর সিটি সেন্টারে মাঙ্গলিকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন শিল্পাঞ্চল তথা জেলার বিভিন্ন ক্রীড়া সংগঠনের প্রতিনিধিরা। রাজনৈতিক সভা সমিতির নামে খেলার মাঠ নষ্ট করার অভিযোগে সোচ্চার হন তারা। একইসঙ্গে ক্রীড়াক্ষেত্র বাঁচানোর দাবিতে বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর প্রতিবাদকে সর্বতোভাবে সমর্থন জানান ক্রীড়া সংগঠনের কর্তাব্যক্তিরা। নেহেরু স্টেডিয়াম, এএসপি স্টেডিয়াম ও শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন ক্রীড়াঙ্গনকে বাঁচাতে পথে নামবেন বলে জানান তারা। শনিবার দুর্গাপুর সাব ডিভিশন স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক তাপস সরকার বিজেপির সভা পরবর্তীতে মাঠের হতশ্রী দশায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এই মাঠকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার দাবিও জানান তিনি। এরই পাশাপাশি খেলার মাঠকে রাজনৈতিক সভা বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ব্যবহার বন্ধের দাবিতে সুর চড়ান বিশ্বজিৎ বিশ্বাস, বীরেশ বন্দ্যোপাধ্যায়, আশীষ সেন, হরেকৃষ্ণ মজুমদার, প্রদীপ গোপ, সঞ্জয় সিং, শিবম মিত্র, সুব্রত রায় সহ বিভিন্ন ক্রীড়া সংগঠনের প্রতিনিধিরা। এসবের পাশাপাশি দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন ক্রীড়াক্ষেত্রকে সুরক্ষার দাবিতে দুর্গাপুর নগর নিগম, এডিডিএ সহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে দরবার করবেন বলে জানিয়েছেন ক্রীড়াপ্রেমী ও ক্রীড়া সংগঠনের প্রতিনিধিরা। উল্লেখ্য, শুক্রবার দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভাস্থল হিসেবে নির্দিষ্ট করা হয় নেহেরু স্টেডিয়ামকে। ফলে মঞ্চ সহ বিজেপির কর্মী সমর্থকদের জন্য সভাস্থল তৈরিতে খোঁড়াখুঁড়ির কারণে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয় মাঠের বিস্তীর্ণ প্রান্তর। তার ওপর ওইদিন সকাল থেকে টানা বৃষ্টি সহ সভায় আসা মানুষজনের ভিড়ে খেলার মাঠের আসল চেহারাটা উধাও হয়ে যায়। এসবেরই প্রতিবাদে সরাসরি ময়দানে নেমে পড়েন বিধায়ক তথা জেলা তৃণমূল সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। শনিবার তার প্রতিবাদের সমর্থনে কণ্ঠ মেলান ক্রীড়াবিদ সহ ক্রীড়াপ্রেমীরা। তবে এ ব্যাপারে ডিএসপি কর্তৃপক্ষ বা বিজেপি নেতৃত্বের তরফে কোন প্রতিক্রিয়া মেলেনি।