অনশন আন্দোলনের আবহেই গ্রেফতার পাঁচ শ্রমিক!

সংবাদ সফর, দুর্গাপুর, ২১, জুলাই: ঠিকা শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবিতে কারখানার গেটের সামনে অনশন অবস্থান চলছে। সোমবার হঠাৎই পাঁচ কর্মরত শ্রমিককে তুলে নিয়ে গেল ওয়ারিয়ার ফাঁড়ির পুলিশ। এমনই অভিযোগে সরব হল ভূমি রক্ষা কমিটির সদস্যরা। তাদের কথায়, টিফিনের পর গেটে ঢোকার সময় তাদের বাধা দেওয়া হয়। এমনকি গেটের দায়িত্বে থাকা সিকিউরিটি গার্ডরা ওই শ্রমিকদের মারধর করে। কিন্তু পাঁচজন শ্রমিককে অন্যায়ভাবে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ বলে অভিযোগ করেন কমিটির অন্যতম সদস্য ধ্রুবজ্যোতি মুখোপাধ্যায়। কিন্তু শ্রমিকদের গ্রেফতারির অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ প্রশাসন। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের আটক করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, ৯ দফা দাবিতে দুর্গাপুরের ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের গোপালমাঠ লাগোয়া বেসরকারি সিমেন্ট কারখানার বাইরে গত চার দিন ধরে অনশন- অবস্থান আন্দোলন শুরু করেছেন ধ্রুবজ্যোতি মুখোপাধ্যায়। তার অনশন আন্দোলনের সমর্থনে কারখানার অভ্যন্তরেও সিমেন্ট ওয়ার্কসের কর্মরত ঠিকা শ্রমিকরা শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান বিক্ষোভে শরিক হয়েছেন। বলাই বাহুল্য, ঠিকা শ্রমিকদের ন্যায্য বেতন, প্রতিটি শ্রমিককে ১০ লক্ষ টাকা করে স্বাস্থ্য সুরক্ষা অনুদান, বকেয়া গ্র্যাচুয়িটি সুদ সমেত প্রদান, নিয়মমাফিক বেতন বৃদ্ধি সহ বিভিন্ন দাবিতে সরব হয়েছে ভূমি রক্ষা কমিটি। এমনকি স্থানীয় বেকারদের বঞ্চিত করে একটি বেসরকারি ঠিকা সংস্থা বহিরাগতদের নিয়োগ করছে বলে অভিযোগ করেন কমিটির সদস্যরা। সেক্ষেত্রে এ ধরনের নিয়োগ বন্ধের পাশাপাশি স্থানীয়দের নিয়োগ সহ ৯ দফা দাবিতে অনশন অবস্থান শুরু করেছেন ভূমি রক্ষা কমিটির অন্যতম সদস্য ধ্রুবজ্যোতি মুখোপাধ্যায়। সংগঠনের সদস্যদের অভিযোগ, কারখানা কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তা রক্ষীর পোশাক পরিয়ে বাইরে থেকে আনা গুন্ডা দিয়ে শ্রমিকদের চাপ দেওয়া শুরু করেছে। পাশাপাশি এই আন্দোলনকে ভেঙে দেওয়ার অপচেষ্টা শুরু হয়েছে কারখানা কর্তৃপক্ষের তরফে বলে অভিযোগ করে ভূমি রক্ষা কমিটি। কিন্তু কোনভাবেই এই আন্দোলনকে দমানো যাবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন কমিটির সদস্যরা। এদিকে, এই আবহের মধ্যেই সোমবার হঠাৎই পাঁচজন কর্মরত শ্রমিককে সংশ্লিষ্ট ওয়ারিয়া ফাঁড়ির পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে বলে অভিযোগ করেন ধ্রুবজ্যোতি মুখোপাধ্যায়, সুমন গোপরা। আর তাতেই পরিস্থিতি কিছুটা উত্তপ্ত হয়। কিন্তু কোনভাবেই তারা আন্দোলন থেকে পিছপা হবেন না বলে কমিটির সদস্যরা জানিয়ে দেন। তবে এ ব্যাপারে ওই কারখানা কর্তৃপক্ষের তরফে কোন প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে পুলিশের দাবি, শ্রমিকদের গ্রেপ্তার করা হয়নি। জিজ্ঞাসাবাদ এর জন্য তাদের আটক করা হয়েছিল বলে জানান এসিপি দুর্গাপুর।