জেলা

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ থোড়াই কেয়ার! দেদার বালি চুরির অভিযোগ জেলায়

বিশেষ প্রতিবেদন, ২৯ মার্চ, সুশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ থোড়াই কেয়ার। নিয়মনীতিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দেদার বালি চুরি শুরু হয়েছে খনি-শিল্পাঞ্চল সহ পশ্চিম বর্ধমানে। আসলে বালি, কয়লা, লোহার বেআইনি পাচার নিয়ে বিরোধীদের অভিযোগের সত্যতা প্রমাণে কোমর কষে ময়দানে নেমে পড়েছে তৃণমূল সহ পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের একাংশ। কেউ কিছু জানে না, কেউ কিছু বোঝে না- এমন ভাবনা ভুল। সব জেনেশুনেও মুখে কুলূপ এঁটে বসে রয়েছেন শাসক নেতত্ব সহ প্রশাসনের কর্তাব্যাক্তিদের একাংশ। কারণ মুখ বন্ধ রাখার শর্ত হিসেবে মোটা মোটা খাম পৌঁছে যাচ্ছে তাদের বাড়িতে। নিশ্চিন্ত আয়ের এমন সহজ সুযোগ কে আর ছাড়তে চায় বলুন? তবে এ ধরনের দুর্নীতির টাকায় বিরোধীদের কেউ কেউ ভাগ বসাচ্ছেন না- বলাটা বড়ই কঠিন। গত লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে দলে সুস্থ পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে কোন কসুরই বাদ দিচ্ছেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতিনিয়ত দুর্নীতি থেকে দূরে থাকতে দলের নেতানেত্রীদের বার বার সতর্ক করে চলেছেন। গত বছরের নভেম্বরে নবান্নে রাজ্যের পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে কয়লা, বালি সহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজকর্মের প্রসঙ্গে সরাসরি পুলিশ প্রশাসনের একাংশের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তারই জেরে ব্যাপক ধরপাকড় শুরু হয়ে যায়। মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকে পরেই জেলার মনোরঞ্জন মন্ডল, পার্থ ঘোষদের পুলিশ কর্তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়। যদিও এসব নিয়ে পুলশের শীর্ষ কর্তারা মুখ খুলতে চাননি। কিন্তু দিন কয়েক এসব নিয়ে একটুআধটু হইচই হয়েছিল বটে , কিন্তু তারপর যে কে সেই। বর্তমানে বেআইনি বালি কারবার নিয়ে অভিযোগের পারদ চরমে উঠেছে। কোটি কোটি টাকার সরকারি রাজস্ব ফাঁঁকি দিয়ে অন্ডাল ব্লকের শ্রীরামপুর, মদনপুর, রামপ্রসাদপুর সহ জেলার বিভিন্ন ব্লকে এ ধরনের অবৈধ কাজ কারবারের অভিযোগে সরব হচ্ছেন অনেকেই। কিন্তু তাতে কী যায় আসে? মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে অন্ডাল, রানিগঞ্জ, জামুরিয়া সহ জেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় বালির বেআইনি কারবার কায়েম রেখেছে একশ্রেণির বালি মাফিয়া।,  তাদের মদতদাতা হিসেবে তৃণমূল নেতৃত্ব সব পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের একাংশের বিরুদ্ধে অভিযোগ কি একেবারেই ভিত্তিহীন? কী বলছেন শাসক নেতৃত্ব? পুলিশ বা প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের বক্তব্যই বা কী? কী বলছেন সাধারণ মানুষজন? এসব নিয়ে পরিবেশ-প্রকৃতি প্রেমিকরা কী বলছেন? কিছুদিন আগে এসবের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসনের চিঠি চালাচালি শুরু হয়। সেসবেরই বা কি হল? বর্তমানে কি বিধি মোতাবেক বালি তোলার কাজ হচ্ছে? সেসবের তথ্য-তালাশে শুরু হচ্ছে সবুজ সফর পত্রিকা সহ পোর্টালের ধারাবাহিক প্রতিবেদন। নিয়মিত আপডেট পেতে চোখ রাখুন পত্রিকা সহ পোর্টালের নিত্য নতুন প্রতিবেদনে… ( চলবে)।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button