বাবলুর গ্রেপ্তারে তদন্ত কোন পথে? প্রশ্ন শিল্পাঞ্চলে

সংবাদ সফর, দুর্গাপুর: গ্রেফতার হলেন বাবলু যাদব। বুধবার রাতে পানাগড় কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত বাবলু যাদবকে অন্ডাল থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আপাতত তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে রবিবারের ঘটনার কিনারা করতে চাইছেন আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশ কর্তারা। এর আগে চন্দননগরের ইভেন্ট ম্যানেজার সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়ের গাড়ির সঙ্গী প্রদীপ দত্ত ও মিন্টু মন্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। এসবের মাঝেই এ ঘটনায় মূল অভিযুক্ত বাবলু যাদবকে পাকড়াও করা হয়। কিন্তু তদন্তের কারণে এখনও পরিষ্কারভাবে মুখ খুলতে চাইছেন না ডেপুটি কমিশনার অভিষেক গুপ্তা। তবে বিভিন্ন তথ্য প্রমাণাদির প্রাথমিক বিশ্লেষণের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্তের প্রায় শুরু থেকেই ইভটিজিংয়ের তত্ত্ব মানতে অস্বীকার করে পুলিশ। গাড়ির রেষারেষিতেই চন্দননগরের ওই যুবতীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানান তারা। বৃহস্পতিবার ডেপুটি পুলিশ কমিশনার অভিষেক গুপ্তা জানান, শনিবার ধৃতকে আদালতে তোলা হবে। তদন্তের স্বার্থে তাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হবে বলেও জানান তিনি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তার মেয়ের মৃত্যুর কারণ হিসেবে ইভটিজিংকেই তুলে ধরছেন সুতন্দ্রার মা তনুশ্রীদেবী। এমনকি রাজ্যে নারী নিরাপত্তার প্রশ্নে এখনও অনড় তিনি। বলাই বাহুল্য, রবিবার রাতের দিকে পানাগড়ের কাছে মর্মান্তিক গাড়ি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান চন্দননগরের যুবতী তথা ইভেন্ট ম্যানেজার সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়। সেখানে মৃত্যুর কারণ হিসেবে পানাগড়ের লোহার যন্ত্রাংশ ব্যবসায়ী বাবলু যাদব ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে ইভটিজিংয়ের অভিযোগ ওঠে। কিন্তু ঘটনার পর থেকেই বাবলু যাদব সহ তার সঙ্গী-শাগরেদরা বেপাত্তা হয়ে যান। সেক্ষেত্রে তাদের ধরতে না পারায় পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগে সমালোচনা শুরু হয় বিভিন্ন মহলে। অবশেষে বুধবার রাতের দিকে এ ঘটনার মূল অভিযুক্ত বাবলু যাদবকে পাকড়াও করে পুলিশ। সেক্ষেত্রে আগামী দিনে এ ঘটনার তদন্তের গতিপ্রকৃতি কোন দিকে যায়- তার সময়ই বলে দেবে।