সিমেন্ট কারখানা পরিদর্শনে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ

সংবাদ সফর, দুর্গাপুর, ২২ এপ্রিল: দূষণের বিরুদ্ধে লাগাতার আন্দোলনে সাড়া দিয়েছে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। তারই পরিপ্রেক্ষিতে সিমেন্ট কারখানা পরিদর্শনে আসেন সংস্থার প্রতিনিধি দল। মঙ্গলবার এমনই দাবি করেন ভূমি রক্ষা কমিটির সদস্যরা। এদিন, রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের আধিকারিক অরূপ কুমার দের নেতৃত্বে দুটি দল কারখানায় আসেন। প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বিশেষ দূষণ পরিমাপক যন্ত্র সহ একটি চলমান ল্যাবরেটরিও সঙ্গে আনেন। কিন্তু ওই বেসরকারি সিমেন্ট কারখানা কর্তৃপক্ষ বিপদের আঁচ পেয়ে উৎপাদন বন্ধ করে দেয় বলে অভিযোগ। তা সত্ত্বেও সকাল ১১টা থেকে প্রায় ৪টা পর্যন্ত টানা কারখানার ভিতরে সব কিছু পরীক্ষা করে দেখেন তারা বলে ভূমি রক্ষা কমিটির তরফে জানান ধ্রুবজ্যোতি মুখোপাধ্যায়। উল্লেখ্য, দুর্গাপুর নগর নিগমের ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের গোপালমাঠ গ্রাম লাগোয়া ওই বেসরকারি সিমেন্ট কারখানার বিরুদ্ধে দূষণ ছড়ানোর অভিযোগে আন্দোলনে নামেন ভূমি রক্ষা কমিটির সদস্যরা। তারই পরিপ্রেক্ষিতে চরম পুলিশি হেনস্থা সহ মামলা মোকদ্দমার মুখে পড়তে হয় তাদের বলে অভিযোগ। কিন্তু কোনভাবেই তাদের থামানো যায়নি। কমিটির সদস্যদের কথায়, খরচ বাঁচাতে দূষণ নিয়ন্ত্রক ইএসপি মেশিন ব্যবহার করা হয় না কারখানায়। সেক্ষেত্রে দূষণ ছড়ানোর দায়ে দুর্গাপুর সিমেন্ট কারখানা কর্তৃপক্ষকে মোটা অঙ্কের জরিমানা করার দাবি জানিয়েছেন ভূমি রক্ষা কমিটির সদস্যরা। একইসঙ্গে পরিবেশ রক্ষায় শহরে কমপক্ষে দু লক্ষ গাছ লাগানোর পাশাপাশি জনপদ দিয়ে স্ল্যাগ সহ কাঁচামাল ও উৎপাদিত সামগ্রী পরিবহনে সতর্কতা অবলম্বন করার দাবি জানান তারা। পরিবেশ রক্ষার পাশাপাশি কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের অবিলম্বে সরকারী হারে ডাস্ট এলাউন্স সহ তাদের উন্নত মানের বায়ু দূষণরোধক সামগ্রী প্রদানের দাবি জানিয়েছেন ভূমি রক্ষা কমিটির সদস্যরা। একইসঙ্গে নিয়মিত কর্মরত শ্রমিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা সহ তাদের দূষণ জনিত অসুস্থতায় চিকিৎসার সমস্ত দায়ভার কারখানা কতৃপক্ষকে নেওয়ার পক্ষে জোর সওয়াল করেন তারা। তবে এ ব্যাপারে কারখানা কর্তৃপক্ষ বা দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তরফে কোন প্রতিক্রিয়া মেলেনি।