‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পে দুর্নীতিতে বহিষ্কার, কড়া বার্তা বিধায়কের
সংবাদ সফর, পাণ্ডবেশ্বর: আবাস যোজনায় কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে অলিখিত যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। সেক্ষেত্রে ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের সূচনা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী তথা দলনেত্রীর স্বপ্নের এই প্রকল্পকে বাস্তবায়িত করতে তৎপর জেলা তৃণমূল। সেক্ষেত্রে এই প্রকল্পের নামে কাটমানি খেলে পদ খোয়াতে হবে প্রধান সহ পঞ্চায়েত সদস্যদের। এ ব্যাপারে কড়া বার্তা দিয়েছেন পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক তথা জেলা তৃণমূল সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী।
বলাই বাহুল্য, পশ্চিম বর্ধমান জেলায় ইতিমধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি প্রকল্পের টাকা ঢুকতে শুরু করেছে উপভোক্তাদের একাউন্টে। এই প্রকল্পের যথাযথ রূপায়ণের লক্ষ্যে পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভার ১৩টি পঞ্চায়েত এলাকা পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিধায়ক তথা জেলা তৃণমূল সভাপতি। বুধবার পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভার দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লকের গোগলা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা পরিদর্শন করেন তিনি। একইসঙ্গে সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত প্রধান সহ সদস্যদের সতর্কবার্তায় বিধায়ক জানান, সাধারণ মানুষজনের প্রাপ্য টাকায় কোনরকম দুর্নীতি তিনি বরদাস্ত করবেন না।। পঞ্চায়েত সদস্য সহ দলের কোন নেতার বিরুদ্ধে কাটমানি বা এই প্রকল্পে স্বজনপোষণে অভিযোগ উঠলে তাকে সরাসরি বহিষ্কার করা হবে বলে সাফ জানিয়ে দেন বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী।
তার কথায়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই বাংলার ১২ লক্ষ মানুষের একাউন্টে ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের টাকা পৌঁছে দিয়েছেন। সেই টাকার যথাযথ ব্যবহার সহ এই প্রকল্পের সার্থক রূপায়ণে সব রকমের প্রচেষ্টা চালানো হবে বলে জানিয়ে দেন পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক তথা জেলা তৃণমূল সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। তারই লক্ষ্যে পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভা জুড়ে ১৩টি পঞ্চায়েতের পরিদর্শন শুরু করেছেন বিধায়ক। বুধবার এই বিধানসভার গোগলা গ্রাম পঞ্চায়েত পরিদর্শনের মধ্য দিয়ে এই কর্মসূচি শুরু করেন তিনি।