বিভিন্ন দাবিতে ডেপুটেশন কেন্দ্রীয় বাস্তুহারা পরিষদের
সংবাদ সফর বাঁকুড়া: ডেপুটেশন দিল সম্মিলিত কেন্দ্রীয় বাস্তুহারা পরিষদ। বুধবার পাট্টা দেওয়া জমির পড়চা, জমির চরিত্র বদল, কলোনিগুলিকে নিয়ে আলাদা পঞ্চায়েত গঠন ইত্যাদি ১৯ দফা দাবিতে বুধবার জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরে সরব হন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এদিন সংগঠনের সদস্যরা একটি মিছিল করে জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিকের অফিসে আসেন। এই ডেপুটেশন কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের রাজ্য সভাপতি জীবনরঞ্জন ভট্টাচার্য, রাজ্য নেতৃত্ব সুধাংশু মজুমদার, সুজয় চৌধুরী, প্রাক্তন বিধায়ক অজিত রায় সহ অনেকে। সংগঠনের জেলা সম্পাদক রবীন্দ্রনাথ মন্ডল বলেন, দেশ ভাগের পর বাংলাদেশ থেকে যে উদ্বাস্তু শরণার্থী এদেশে এসেছেন তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে ভারত সরকার। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন গ্রুপে শরণার্থীরা আসেন। এ রাজ্যে প্রায় ৯৯৮ টি জবরদখল উদ্বাস্তু কলোনি গড়ে ওঠে রাজ্যে। ৬০৭ গ্রুপে বাঁকুড়ার দামোদর নদের মেজিয়া, বড়জোড়া, সোনামুখী, পাত্রসায়ের মানাচরগুলিতে উদ্বাস্তুরা জবরদখল কলোনি গড়ে ওঠে। জেলায় এরকম কলোনির সংখ্যা ৩৮টি বলে জানান তিনি। তার কথায়, ১৯৮৭ সালে কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশনামা মোতাবেক ১৯৮৮ সালের ১৮ জুলাই শরণার্থীদের জমির পাট্টা দেওয়া হয়। এরপর তৎকালীন রাজ্য সরকার সামান্য কিছু পাট্টা জমির মিউটেশন করে পড়চা দিয়ে বন্ধ করে দেয়। এখনও পর্যন্ত বারে বারে আন্দোলন করা সত্ত্বেও অধিকাংশ জমির পড়চা দেওয়া হয়নি। সেক্ষেত্রে পরিবার প্রতি ১০ কাঠা বাস্তুজমি ও সর্বোচ্চ ৯ বিঘা কৃষিজমি দিয়ে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে তাদের বলে দাবি তোলেন রবীন্দ্রনাথবাবু।
এছাড়াও বড়জোড়া ও ঘুটগড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের যে ১১ টি বুথ মানাচর এলাকায় রয়েছে, সেগুলিকে নিয়ে একটি আলাদা গ্রাম পঞ্চায়েত গঠনেরও দাবি তুলেছেন আন্দোলনকারীরা। রাজ্য নেতা সুজয় চৌধুরী বলেন, সীতারামপুর মানা, পল্লীশ্রী মানা ও বড়মানার নদী ভাঙন রোধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি কলোনির রাস্তাগুলি পিচ অথবা ঢালাই করে দিতে হবে। বুধবার ডেপুটেশনের প্রতিক্রিয়ায়
ভূমি দফতরের এক আধিকারিক বলেন, সম্মিলিত কেন্দ্রীয় বাস্তুহারা পরিষদের কাছ থেকে একটি স্মারকলিপি জমা পড়েছে। বিষয়গুলি বিবেচনার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে বলেও জানান তিনি।