শিল্পাঞ্চল

উচ্ছেদ অভিযান ঘিরে রাজনৈতিক চাপানউতোর চরমে

সংবাদ সফর, দুর্গাপুর: জমি কার? পুনর্বাসন কে দেবে? জমি জমা হারিয়ে কোথায় দাঁড়াবেন তারা? আপাতত এসব চিন্তায় রাতের ঘুম উবে গিয়েছে মানুষজনের। আর এসবের মধ্যেই বিজেপি-তৃণমূলের রাজনৈতিক চাপানউতোর চরমে উঠেছে। গত বুধবার দুর্গাপুরের ডিটিপিএস এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। উল্লেখ্য, রাষ্ট্রায়ত্ত দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশনের অধীনস্থ দুর্গাপুর থার্মাল পাওয়ার স্টেশন অর্থাৎ ডিটিপিএসের ৮০০ মেগা ওয়াটের নতুন ইউনিট তৈরীর তোড়জোড় শুরু হয়েছে। তাই কারখানার সম্প্রসারণের জন্য ডিভিসির জমি দখলদারদের উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের তরফে। গত বুধবার ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের খাটালপাড়ায় বুলডোজার নিয়ে উচ্ছেদ চালানো হয়।শুক্রবার বস্তিবাসীরা দুর্গাপুর থার্মাল পাওয়ার স্টেশনের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। বস্তিবাসীদের পুনর্বাসনের প্রশ্নে তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ ঘোড়ুই। তবে এবারেও উচ্ছেদ হওয়া মানুষজনেদের যথাযথ পুনর্বাসনের জমির জন্য রাজ্যের উপর চাপ সৃষ্টি করেন। একইসঙ্গে রাজ্যের তরফে জমি মিললে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় তাদের বাড়িঘর নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন বিজেপি বিধায়ক। সেক্ষেত্রে সংস্থার চেয়ারম্যান সহ প্রয়োজনীয় জমির জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাবেন বলেও জানান তিনি। এরই পাশাপাশি শুক্রবার আগামী তিন মাসের মধ্যে উচ্ছেদ অভিযান বন্ধের পক্ষে সওয়াল করেন বিধায়ক। সেক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পুনর্বাসনের জন্য পর্যাপ্ত সময়ের যুক্তি খাড়া করেন তিনি। তবে এই সময়ের মধ্যে উচ্ছেদ অভিযান হলে বুলডোজারের সামনে দাঁড়াতেও তিনি পিছপা হবেন না বলে কার্যত হুঁশিয়ারি দেন বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ ঘোড়ুই। এদিকে, এসব নিয়ে বিধায়কের বক্তব্যের বিরোধিতা করে রাজ্যের মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার জানান, কারখানার জন্য রাজ্য সরকার পর্যাপ্ত জমি দিয়েছে। সময় মতো সেই জমির যথাযথ ব্যবহারের অভাবে সেখানে দীর্ঘদিন ধরে মানুষ বসতি স্থাপন করেছে। সেক্ষেত্রে তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা কেন্দ্রের ওই সংস্থাকেই করতে হবে। রাজ্য কেন তার দায় নেবে বলে বিজেপি বিধায়কের যুক্তির বিরোধিতায় প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন রাজ্যের মন্ত্রী।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button