সংবাদ সফর, দুর্গাপুর: প্রশ্নের মুখে পড়ল মহিলা মহাবিদ্যালয়ের নিরাপত্তা। কলেজ চত্বরে আগুনের ঘটনায় এমনই আশঙ্কার কথা শোনা গেল ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানের বক্তব্যে। বৃহস্পতিবার দুর্গাপুর উইমেন্স কলেজ চত্বরে আগুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় শিল্পাঞ্চলে। এ ঘটনায় পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরের মহিলা মহাবিদ্যালয় চত্বরের বিস্তীর্ণ এলাকার গাছপালা পুড়ে ছাই হয়ে যায় আগুনে। প্রথমদিকে কলেজের লোকজনেরা আগুন সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। পরে দমকল বাহিনীর লোকজনেরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। আগুন লাগার কারণ স্পষ্ট না হলেও এ ঘটনায় বরফ কল বস্তির দুষ্কৃতিদের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ কলেজের অধ্যক্ষা মহানন্দা কাঞ্জিলালের। সেক্ষেত্রে কলেজের সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে রীতিমতো চিন্তা ব্যক্ত করেন তিনি। উল্লেখ্য, প্রায় চোদ্দ একর জায়গা জুড়ে রয়েছে দুর্গাপুর মহিলা মহাবিদ্যালয়। বিস্তীর্ণ এই এলাকায় কলেজের মূল ভবন সহ প্রিন্সিপাল আবাসন, হোস্টেল রয়েছে। এসবের সঙ্গে জঙ্গল জলাভূমি রয়েছে কলেজ চত্বরে। গোটা এলাকা প্রাচীর দিয়ে ঘিরে ফেলা হলেও তাও মাঝেমধ্যে ভেঙে ফেলা হয়। সেক্ষেত্রে লাগোয়া বরফ কল বস্তির দুষ্কৃতিদের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলেন কলেজের অধ্যক্ষা মহানন্দা কাঞ্জিলাল। এরই পাশাপাশি কলেজের পড়ুয়া সহ কলেজের সার্বিক সুরক্ষা নিয়ে শঙ্কাপ্রকাশ করেন তিনি। এদিনের ঘটনাতেও ওই দুষ্কৃতিদের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেন কলেজের প্রিন্সিপাল। তার কথায়, বেশ কিছু যুবক এদিন কলেজের বাগান চত্বরে ইতস্তত ঘোরাঘুরি করছিল। অবাঞ্ছিত ও অসামাজিক লোকজনেদের যাতায়াত বন্ধে কলেজের চারিদিক প্রাচীর দিয়ে ঘেরা রয়েছে। কিন্তু মাঝেমধ্যেই ওই প্রাচীরের একটা অংশ ভেঙে ফেলা হয়। সেখান দিয়েই গরু, মোষ, শুয়োর ঢুকে যায় কলেজ চত্বরে। এমনকি এখান দিয়ে অবাঞ্ছিত দুষ্কৃতীদের অবাধ আনাগোনা চলে বলে অভিযোগ অধ্যক্ষার। একইসঙ্গে কলেজের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ সহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে সচেষ্ট হওয়ার আবেদন জানান তিনি। তবে এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
