জেলা

অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মেলার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন শহরে

সংবাদ সফর, আসানসোল: অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা কোথায়? বুধবার আসানসোলের পোলো গ্রাউন্ডে সরকারের হস্তশিল্প মেলায় বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড ঘিরে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে। বুধবার দুপুর দেড়টা নাগাদ আসানসোল পোলো গ্রাউন্ডে হস্তশিল্প মেলায় এই আগুন লাগার ঘটনা ঘটে বলে খবর মেলে। সেক্ষেত্রে মেলায় বিভিন্ন বিপনি মালিকদের তরফে অভিযোগ, এত বড় সরকারি মেলায় দমকলের ইঞ্জিন ছিল না। আগুন লাগার আধঘন্টারও বেশি সময় পরে দুটি দমকলের ইঞ্জিন মেলা চত্বরে আসে। সে কারণেই আগুন দ্রুত মেলার একাধিক স্টলে ছড়িয়ে পড়ে বলে অভিযোগ তাদের। মেলা চত্বরে দমকল বাহিনী মজুত ছিল না বলে স্বীকার করে নেন পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসনের ওসি ( ইন্ডাস্ট্রি) দীক্ষা শেরপা। প্রায় একই সুর শোনা গিয়েছে আসানসোল ফায়ার স্টেশনের আধিকারিক দেবায়ন পোদ্দার সহ আসানসোল পুর নিগমের মেয়র পারিষদ গুরুদাস ওরফে রকেট চট্টোপাধ্যায়ের বিবৃতিতে। সেক্ষেত্রে মেলার সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। জানা গিয়েছে, মেলা চত্বরে একটি ফুড স্টলে প্রথমে আগুন লাগে। নিমিষে তা ছড়িয়ে পড়ে অন্যান্য স্টলে। ফলে কয়েক মুহূর্তের মধ্যে সাতটির মতো স্টল আগুনে পুড়ে যায়। তার মধ্যে ছয়টি ফুড বা খাবারের স্টল রয়েছে। ফলে সব মিলিয়ে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে, আগুন লাগার বিষয়টি দ্রুত দমকল বিভাগকে খবর দেওয়া হলেও দমকল বিভাগ ঘটনাস্থলে দেরিতে এসে পৌঁছায় বলেই অভিযোগ। প্রায় ৩০ থেকে ৪০ মিনিট পর দমকল কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছান। প্রথমদিকে আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান স্থানীয় মানুষজন। পরে অবশ্য দমকল কর্মীদের প্রায় এক ঘন্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আসানসোলের মতো ঘন জনবসতিপূর্ণ এলাকায় মেলায় কীভাবে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল ? পাশাপাশি মেলায় অগ্নি নির্বাপনের অপ্রতুর ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে। এদিকে, ঘটনার খবর পেয়ে প্রশাসন ও পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা মেলা চত্বরে ছুটে আসেন। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা সহ মেলা চত্বরে দমকল বাহিনীর ইঞ্জিন না থাকার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত করা হবে বলে জানান সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা। প্রসঙ্গতঃ, গত ১ মার্চ বিকেলে এক অনুষ্ঠানে রাজ্যের দুই মন্ত্রী মলয় ঘটক ও চন্দ্রনাথ সিনহা এই হস্তশিল্প মেলার উদ্বোধন করেন। রাজ্যের ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি উদ্যোগ এবং বস্ত্র দপ্তরের তরফে এই মেলা চলবে ১২ মার্চ পর্যন্ত।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button