মহাপ্রসাদ বিলি ঘিরে প্রশাসনিক তৎপরতা তুঙ্গে

রামকৃষ্ণ চট্টোপাধ্যায়, সংবাদ সফর, ২১ জুন: আসানসোল ও দুর্গাপুর: জগন্নাথদেবের মহাপ্রসাদ বিলি ঘিরে চরম উৎসাহ উদ্দীপনার ছবি ধরা পড়েছে জেলায়। শনিবার পশ্চিম বর্ধমানের বিভিন্ন রেশন দোকান সহ পথচলতি মানুষজনদের হাতে মহা প্রসাদের প্যাকেট তুলে দেওয়া হয়। এদিন, দুর্গাপুরের মোট ৪৩ টি ওয়ার্ডের ৭৬ টি রেশন দোকানের মাধ্যমে প্রসাদের প্যাকেট তুলে দেওয়া হবে গ্রাহকদের হাতে। শনিবার থেকে তিন দিন ধরে টানা প্রসাদ বিলিবন্টন চলবে বলে জানান দুর্গাপুর নগর নিগমের মুখ্য প্রশাসক অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায়। এদিন পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভায় এলাকার কুমারডিহি সহ বিভিন্ন এলাকায় জগন্নাথ দেবের মহাপ্রসাদ বিলি করা হয়। শুরু হল প্রসাদ বিতরণ কর্মসূচি। পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভার কুমারডিহি সহ বিভিন্ন এলাকায় প্রসাদ বিলি শুরু হয়। প্রায় একই ছবি দেখা গেল আসানসোল খনি শিল্পাঞ্চলে। শনিবার মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ‘দুয়ারে মহাপ্রসাদ বিলি’-র প্রক্রিয়া সুসম্পন্ন করতে পাঁচগাছিয়া এলাকায় জেলা প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিদের তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো। এই গ্রাম পঞ্চায়েতের রেশন দোকান সহ পথ চলতি মানুষজনের হাতে প্রসাদের প্যাকেট তুলে দেওয়া হয়। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক এস পোন্নামবালাম, আসানসোল সদরের মহকুমাশাসক বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য, সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মনোরঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় সহ অন্যান্যরা। এ ব্যাপারে জেলাশাসক বলেন, দীঘায় নবনির্মিত জগন্নাথ মন্দিরের মহা প্রসাদ সাধারণ মানুষজনের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারই লক্ষ্যে জেলার বিভিন্ন ব্লক সহ মহকুমাতে দফায় দফায় মহাপ্রসাদ বিলি করা হবে বলে জানান জেলাশাসক এস পোন্নামবালাম। উল্লেখ্য, তথ্য ও সংস্কৃতি দফতর ও খাদ্য দফতরের যৌথ উদ্যোগে এই বণ্টন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে ২০ জুন থেকে। প্রসাদের প্রতিটি বাক্সে থাকছে একটি খাজা বা পেঁড়া ও একটি গজা। দিঘা জগন্নাথদেব সহ দীঘায় নবনির্মিত মন্দিরের ছবিও ওই প্যাকেটে দেওয়া হচ্ছে। প্যাকেট তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে।