বেআইনি বালি কারবারের অভিযোগের তদন্তে মিনারেল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন!

সংবাদ সফর, দুর্গাপুর, ১, জুন: বেপরোয়া অবৈধ বালির কারবারে এবার কি রাশ টানা সম্ভব হবে? বলাই বাহুল্য, ওয়েস্ট বেঙ্গল মিনারেল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেডের তরফে বেআইনি বালি উত্তোলন সহ বেপরোয়া কারবারের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্তের নির্দেশ জারি করা হয়েছে। এসবই ভূমি রক্ষা কমিটির ধারাবাহিক আন্দোলনের সাফল্য বলে মন্তব্য করেছেন ধ্রুবজ্যোতি মুখোপাধ্যায়। তার কথায়, দিনের পর দিন দামোদরের গর্ভ থেকে সম্পূর্ণ অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে বালি উত্তোলন করা হচ্ছে। এসবের ফলে চরিত্র সহ নদ নদীর গতিপথ পরিবর্তিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। তাতে পরিবেশ প্রকৃতি তো বটেই, দিনে দিনে দামোদরের গর্ভে একের পর এক প্রাণের বলি হচ্ছে। কিন্তু সবকিছু জানা সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের তরফে কোনও তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়নি। বারবার আবেদন নিবেদন সহ আন্দোলনেও ঘুম ভাঙেনি পুলিশ সহ প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিদের। তারই পরিপ্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসন সহ রাজ্যের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ জানানো হয়। অবশেষে ভূমি রক্ষা কমিটির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নড়েচড়ে বসে ওয়েস্ট বেঙ্গল মিনারেল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড। ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ জারি করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের তরফে বলে জানান ভূমি রক্ষা কমিটির ধ্রুবজাতি মুখোপাধ্যায়, সুমন গোপরা। তবে শুধু কাগজে-কলমে নির্দেশ জারি নয়, শুক্রবার তদন্ত সাপেক্ষে এসব বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে ভূমি রক্ষা কমিটির তরফে বলে জানান তারা। উল্লেখ্য, দুর্গাপুর নগর নিগমের ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের গোপালমাঠ গ্রাম লাগোয়া শ্রীরামপুর সহ দামোদরের বিভিন্ন বালিঘাটে বেআইনিভাবে বালি উত্তোলনের অভিযোগের পারদ ক্রমশই ঊর্ধ্বমুখী হয়ে উঠেছে। সম্পূর্ণ অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে জেসিবি দিয়ে বেপরোয়া বালি উত্তোলনে দামোদর কার্যত মৃত্যু ফাঁদে পরিণত হয়েছে। এসবের ফলে একের পর এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। কিন্তু এসব সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট পুলিশ সহ প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের ভূমিকা যথেষ্ট হতাশাজনক। এমনকি পরিবেশ প্রকৃতি ধ্বংস সহ সাধারণ মানুষজনের জীবনহানির ঘটনাতেও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি প্রশাসনের তরফে বলে অভিযোগ। সেক্ষেত্রে এ ধরনের বেআইনি কারবারে পুলিশ সহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের একাংশের যোগসাজসের অভিযোগেও সরব হন খনি শিল্পাঞ্চলের মানুষজন। অবশেষে ওয়েস্ট বেঙ্গল মিনারেল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের তরফে তদন্তের নির্দেশে আপাতত স্বস্তি মিলেছে বলে জানিয়েছেন ভূমি রক্ষা কমিটির সদস্যরা। একইসঙ্গে এ ধরনের অবৈধ কারবার বন্ধে অবিলম্বে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে ভূমি রক্ষা কমিটির তরফে বলে জানান ধ্রুবজ্যোতি মুখোপাধ্যায়, সুমন গোপরা।