ফের ‘কেষ্টময়’ কার্যালয়, মন ভার কাজলের

সংবাদ সফর, বীরভূম: ফের ‘কেষ্টময়’ কার্যালয়। দু’বছর পর বোলপুর দলীয় কার্যালয়ে ফিরলেন অনুব্রত ওরফে কেষ্ট মণ্ডল। অনুব্রত ফিরতেই বোলপুরে তৃণমূলের কার্যালয় থেকে সরিয়ে ফেলা হল ৫ সদস্যের কোর কমিটির ছবি লাগানো সাইন বোর্ড সহ বড় ব্যানার। আর সেখানে জায়গা নিল জামিনে মুক্ত অনুব্রত ও মমতার ছবি। এককথায়, অনুব্রত মন্ডলের ছবিতেই ছেয়ে ফেলা হল বোলপুরের তৃণমূলের পার্টি অফিস। তবে এসব নিয়ে বাড়াবাড়ির অভিযোগে কার্যত উষ্মাপ্রকাশ করেন একদা কেষ্টবিরোধী তৃণমূল নেতা তথা সভাধিপতি কাজল শেখ। গত লোকসভায় অনুব্রতর অনুপস্থিতি সত্ত্বেও ভালো ফল করে দল বলে ইঙ্গিত দেন তিনি। যাইহোক, দীর্ঘ দু’বছর পর অনুব্রত মণ্ডল তার জেলা সভাপতি চেয়ারে বসেন বুধবার। দু বছর ধরে বীরভূমের তৃণমূলের প্রধান কার্যালয়ে জেলা সভাপতির চেয়ারটি ফাঁকাই রাখা হয়। বুধবার সন্ধ্যার দিকে বোলপুরের নিচু পট্টির বাড়ি থেকে দলীয় কার্যালয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় অনুব্রতর কনভয়। সঙ্গে ছিলেন মেয়ে সুকন্যা। অনুব্রত দলীয় কার্যালয়ে যাওয়ার খবর আগাম জানাজানি হতেই রাস্তার দুধারে অনুগামীদের উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা যায়। গতকাল নিরাশ হলেও সন্ধ্যায় অনুব্রতর সঙ্গে দেখা করেন বোলপুর সাংসদ অসিত মাল, কোর কমিটির সদস্য তথা কারামন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা। তবে শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখকে কেষ্টর সঙ্গে দেখা যায়নি। দেখা মেলেনি রামপুরহাট বিধায়ক, ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ, বীরভূম সাংসদ শতাব্দী রায়কেও। এদিন, অনুব্রতর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংসদ অসিত মাল বলেন, কথা হল। ওরû পায়ে, কোমরে ব্যথা রয়েছে। জেলার রাজনৈতিক নেতারা রয়েছেন। তাদের সঙ্গে জেলার রাজনীতি নিয়ে আলোচনা চলছে। কাজলের অনুপস্থিতি প্রসঙ্গে অসিতবাবু জানান, কাজল কেতুগ্রাম গিয়েছে। সেখানে দলের ব্লক সভাপতির বিপদে তার পাশে দাঁড়াতে গিয়েছেন কাজল বলে জানান সাংসদ। এদিকে, অনুব্রত মণ্ডলের আগমনের পরেই জেলার রাজনৈতিক সমীকরণ বদলাতে শুরু করেছে বলে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। প্রথমেই পাঁচজনের কোর কমিটির বোর্ড সরানো তারই ইঙ্গিত দিচ্ছে। উল্লেখ্য, অনুব্রত মণ্ডলের অনুপস্থিতিতে বীরভূম জেলা সামলেছে কমিটি। কিন্তু জেলে থাকাকালীন তাদের অনেকেই অনুব্রতর সঙ্গে কোন যোগাযোগ রাখেননি বলে অভিযোগ। আর তাতেই অভিমানী অনুব্রত। সেক্ষেত্রে আগামীদিনে কেষ্ট মন্ডলের নেতৃত্বে জেলার রাজনীতির জল কোথায় গড়ায়, সেটাই এখন দেখার বিষয়।