জেলা

মার্কনি দক্ষিণপল্লী প্রথমে, আসানসোলে শীর্ষে নওজোয়ান

সংবাদ সফর, দুর্গাপুর ও আসানসোল: প্রথম স্থান অধিকার করল মার্কনি দক্ষিণপল্লী। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে নবারুণ ক্লাব। তৃতীয়তে চতুরঙ্গ পুজো কমিটি। এছাড়াও সোমবার কার্নিভালে বিশেষ পুরস্কার দেওয়া হল বুদ্ধবিহার সার্বজনীন পুজো কমিটিকে। এদিন, এই পুজো কার্নিভালে মোট ১৪টি পুজো কমিটি অংশ নেয়। গতবারে এই সংখ্যাটা ছিল ১৬। সোমবার কার্নিভালে অংশগ্রহণকারী পুজো কমিটির তরফে নৃত্যগীতি, ট্যাবলো সহযোগে বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। কার্নিভালে সাজ ও শিল্পশৈলী বিচারে প্রথম স্থান লাভ করে মার্কনি দক্ষিণপল্লী পুজো কমিটি। এই অনুষ্ঠানে রাজ্যের গ্রামোন্নয়ন, পঞ্চায়েত ও সমবায় দফতরের মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার, প্রাক্তন সাংসদ তথা অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী, পান্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, জেলাশাসক এস পোন্নামবালাম, পুলিশ কমিশনার সুনীল সিং, মহকুমাশাসক সৌরভ চট্টোপাধ্যায় সহ অন্যান্যরা।

সোমবার দুর্গাপুরের পাশাপাশি আসানসোলেও পুজো কার্নিভালের আয়োজন করে তথ্য ও সংস্কৃতি দফতর। বার্ণপুর রোড কোর্ট মোড় পুলিশ লাইন থেকে ভগৎ সিং মোড় পর্যন্ত বর্ণাঢ্য এই কার্নিভালে অংশ নেন রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক, সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা, জেলাশাসক এস পোন্নামবালাম, পুলিশ কমিশনার সুনীল কুমার চৌধুরি, মেয়র বিধান উপাধ্যায়, অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত সহ অনেকেই। কার্নিভালের বিচারকের দায়িত্বে ছিলেন রামকৃষ্ণ মিশনের স্বামী সৌমাত্মানন্দজী, শিল্পী সুশান্ত রায় ও আসানসোল গালর্স কলেজের অধ্যক্ষ। এদিন, এই কার্নিভালে সাজশৈলী প্রদর্শনের নিরিখে প্রথম স্থান দখল করে নওজোয়ান পুজো কমিটি। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রাখা হয় আসানলো কোর্ট রোড ও আপকার গার্ডেন পুজো কমিটিকে। এছাড়াও চিত্তরঞ্জন ৬-এর পল্লী ও কল্যানপুর সার্বজনীনকে বিশেষভাবে পুরস্কৃত করা হয় উদ্যোক্তাদের তরফে। এই অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদের মেন্টর ভি শিবদাশন দাশুকে সংবর্ধনার কথা ঘোষণা করা হলেও তিনি সহাস্যে তা প্রত্যাখান করেন। এ নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button