বৈদ্যুতিক চুল্লির শিলান্যাসে বিধায়ক

সংবাদ সফর, পাণ্ডবেশ্বর : অবশেষে প্রত্যাশাপূরণ হতে চলেছে। অজয় নদের পাড়ে পাণ্ডবেশ্বর মহাশ্মশানে বসছে ইলেকট্রিক চুল্লি । মঙ্গলবার তারই শিলান্যাস করেন এলাকার বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। এই ইলেকট্রিক চুল্লির ফলে শবদাহে সুবিধা হবে এলাকার মানুষজনের বলে জানান বিধায়ক । উল্লেখ্য, দুর্গাপুরের বীরভানপুর ও রানীগঞ্জ সংলগ্ন মেজিয়া শ্মশান ঘাটে বৈদ্যুতিক চুল্লির ব্যবস্থা রয়েছে । ফলে দূরত্ব সত্বেও বৈদ্যুতিক চুল্লিতে শবদাহের জন্য খনি অঞ্চলের মানুষজনকে যেতে হয় সেখানে । এবার সমস্যার সমাধান হতে চলেছে। কারন অজয় পাড়ে পাণ্ডবেশ্বর শ্মশান ঘাটে বৈদ্যুতিক চুল্লি বসানোর উদ্যোগ নিয়েছে উখরা রোটারি ক্লাব । এই প্রকল্প রূপায়ণে ২ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য মিলেছে একটি বেসরকারি সংস্থার তরফে। মঙ্গলবার এই চুল্লির শিলান্যাস করেন বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান কবি দত্ত, ওই বেসরকারি সংস্থার কর্ণধার বিশ্বদ্বীপ দে, সন্দীপ দে সহ অন্যান্যরা। উখড়া রোটারি ক্লাবের পক্ষে বিশাললাল সিং হান্ডা জানান, এই শ্মশানে দুটি ইলেকট্রিক চুল্লি হবে। নির্মাণকাজ শেষে চুল্লি দুটি পাণ্ডবেশ্বর পঞ্চায়েত সমিতির হাতে হস্তান্তর করা হবে। আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৬ সালে জানুয়ারির মাস থেকেই এখানে শবদাহ করা যাবে বলে আশাপ্রকাশ করেন তিনি । এ ব্যাপারে বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন, পাণ্ডবেশ্বর সহ পার্শ্ববর্তী জেলার মানুষজনও এই বৈদ্যুতিক চুল্লির সুবিধা পাবেন।
বলাই বাহুল্য, মঙ্গলবার প্রকল্পটির শিলান্যাস করার কথা ছিল রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটকের । কিন্তু ঘোষণা সত্ত্বেও ব্যস্ততার কারণে মন্ত্রী অনুষ্ঠানে আসতে পারেননি বলে জানান উদ্যোক্তারা।