‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সাফল্যে বিজয়োল্লাসে বিজেপি

সংবাদ সফর, দুর্গাপুর, ৭ এপ্রিল: শুধু সময়ের অপেক্ষা। প্রহর গুনছিলেন দেশের মানুষজন। আক্রমণের জবাবে প্রতি আক্রমণের পরিকল্পনা করেছিল দেশের সরকার। বুধবার মধ্যরাতে তারই প্রমাণ দিলেন ভারতীয় সেনা জওয়ানরা। ভারতীয় মিসাইলের অতর্কিত হামলায় পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নটি জঙ্গি ঘাঁটি কার্যত মাটিতে মিশে গেল। গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে নিরীহ হিন্দু পর্যটকদের ওপর নারকীয় হত্যালীলা চালায় জঙ্গিরা। ওই মর্মান্তিক ও নারকীয় ঘটনার যোগ্য জবাব দিতে ভারতীয় সেনারা কোমর কষে ময়দানে নেমে পড়েন। বুধবার ভারতীয় বায়ুসেনার ‘ অপারেশন সিঁদুর’- এর মিসাইল হামলায় একের পর এক পাক জঙ্গি ঘাঁটি নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। এই আনন্দেই এদিন সকাল থেকেই কার্যত বিজয়োল্লাসে পথে নামেন বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। বলাই বাহুল্য, ভারতীয় সেনার এই বীর বিক্রমে খুশিতে মেতে উঠেছেন দেশের মানুষজন। ব্যতিক্রম নয় খনি শিল্পাঞ্চল। বুধবার বাদ্যযন্ত্র সহকারে পথচলতি মানুষজনকে আলতা, সিঁদুর আর মিষ্টি বিতরণের উদ্যোগ নেয় বিশ্ব সনাতনী ঐক্য মঞ্চ। এদিন, দুর্গাপুরের ইস্পাতনগরীর চন্ডীদাস বাজারে পথচলতি মানুষদের মিষ্টিমুখ করান তারা। দুর্গাপুর বাজার এলাকায় ভারতীয় সেনার এই সাফল্যে মন্দিরে পুজো দিতে দেখা যায় বিজেপি নেতৃত্বকে। পাকিস্তানি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সরকার ও ভারতীয় সেনার এ ধরনের পদক্ষেপের ভূয়সী প্রশংসা করেন জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। দুর্গাপুর ও আসানসোলের বিভিন্ন এলাকায় বিজয় উৎসবে মাতেন বিজেপি নেতা চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিজিৎ দত্ত, অভিজিৎ রায়, বিজেপি মহিলা মোর্চা নেত্রী মনিষা শিকদার সহ অন্যান্যরা। তারা সকলেই পহেলগাঁওয়ের নিরীহ পর্যটকদের ওপর জঙ্গি হামলার জবাবে ভারত সরকারের এই পদক্ষেপের ভূয়সী প্রশংসা করেন। একইসঙ্গে আগামীদিনে পাকিস্তানি জঙ্গিদের সমুচিত শিক্ষা দিতে তৈরি ভারত সরকার বলে জানান জেলা বিজেপি নেতৃত্ব।