শিল্পাঞ্চল

তিন দিনের পুলিশ হেফাজতে ধৃত দুই তৃণমূল নেতা

সংবাদ সফর, দুর্গাপুর: নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকের পরেই একের পর এক গ্রেফতারি। কোপ এসে পড়েছে পুলিশকর্তাদের ঘাড়েও। একদিকে যখন দলের নেতা রিন্টু পাঁজা, অরবিন্দ নন্দীদের পাকড়াও করেছে পুলিশ, অন্যদিকে বেআইনি কার্যকলাপে যোগসাজশের অভিযোগে পুলিশের এস আই মনোনয়ন মন্ডলকে সাসপেন্ড করা হয়। আর এসব ঘিরে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। বলাই বাহুল্য, তার কার্যকলাপে একসময় মেয়র দিলীপ অগস্তির রোষের মুখে পড়েন রিন্টু পাঁজা। নগর নিগম দফতরে তার অবাধ গতিবিধিতে বাধা হয়ে দাঁড়ান তৎকালীন মেয়র বলে বিশেষ সূত্রে খবর মিলেছে। জানা গিয়েছে, এই তৃণমূল নেতার অবৈধ বালি কারবারে রাশ টানতে তৎপরহ্ন অগস্তি সাহেব। শ্যামপুরের রাস্তায় ওভারলোডেড বালির ট্রাক চলাচল বন্ধ করতে বিশেষ ব্যারিকেডর ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু সেই ব্যারিকেডও বেশিদিন চালানো যায়নি রিন্টু পাজার দাপটে বলে অভিযোগ কান পাতলেই শোনা যায়। এমনকি নগর নিগম দফতরে তার প্রভাব প্রতিপত্তি নিয়েও বিস্তর অভিযোগ রয়েছে।

সব মিলিয়ে বলাই যায়, দিনে দিনে প্রাক্তন কাউন্সিলর প্রিয়াঙ্কি পাঁজার স্বামী তথা দুর্গাপুর ৩ নং ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি রিন্টু পাঁজার দাপট ক্রমশই বাড়ছিল বলে অভিযোগ। একইভাবে অরবিন্দ ওরফে বুকুন নন্দীর বিরুদ্ধেও অভিযোগ কম ছিল না। অবশেষে বৃহস্পতিবার রাতেই ৪২ নং ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর প্রিয়াঙ্কি পাঁজার স্বামী তথা ব্লক তৃণমূল সহ-সভাপতি রিন্টু পাঁজা সহ ব্লকের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক অরবিন্দ নন্দীকে থানায় নিয়ে আসে কোক ওভেন থানার পুলিশ। শুক্রবার ভোরে তাঁদের দুজনকেই গ্রেপ্তার করে পুলিশ। রিন্টু ও অরবিন্দের বিরুদ্ধে লোহা পাচারের অভিযোগ করা হয়েছে। সকালে ধৃত দুইজনকেই দুর্গাপুর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে জেরা পর্ব শেষে শুক্রবার দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয় ধৃত দুই তৃণমূল নেতাকে। আপাতত তিনদিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়েছে রিন্টু পাঁজা সহ অরবিন্দ নন্দীকে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button