শিল্পাঞ্চল

পোস্টার ঘিরে রাজনৈতিক তরজা চরমে, বিস্ফোরক অভিযোগে সরব ইনটাক

সংবাদ সফর, এপ্রিল, দুর্গাপুর: তিন তৃণমূল শ্রমিক নেতার বিরুদ্ধে পোস্টার ঘিরে রাজনৈতিক চাপানউতোর চরমে উঠেছে। পোস্টারে উল্লিখিত বিভিন্ন অভিযোগ অস্বীকারের পাশাপাশি এসবই আইএনটিইউসি অর্থাৎ ইনটাকের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের প্রতিফলন বলে উল্লেখ করেছেন আইএনটিটিইউসি নেতৃত্ব। যদিও শাসকদলের অভিযোগ উড়িয়ে পাল্টা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের তত্ত্ব খাড়া করেছেন জেলা ইনটাক নেতৃত্ব। একইসঙ্গে এএসপিতে ঠিকা শ্রমিক নিয়োগে চরম অস্বচ্ছতা ও স্বেচ্ছাচারিতার পাশাপাশি বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন তারা। এই নিয়োগের পেছনে কারখানায় কোটি কোটি টাকার মাল চুরির যোগসূত্র রয়েছে বলে সরব হয়েছেন সভাপতি সুভাষ সাহা। বলাই বাহুল্য, মঙ্গলবার দুর্গাপুর মিশ্র ইস্পাত কারখানায় তিন তৃণমূল শ্রমিক নেতার বিরুদ্ধে পোস্টার ঘিরে জলঘোলা শুরু হয়। ছবি সহ ওই পোস্টারে সরাসরি জেলা আইএনটিটিইউসির কোষাধ্যক্ষ দীপঙ্কর লাহা,‌ সংগঠনের ব্লক সভাপতি কল্লোল বন্দ্যোপাধ্যায় ও শান্তনু সোমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ আনা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, পুরনো কর্মীদের বঞ্চিত করে বিজেপির মদতপুষ্ট মাফিয়াদের সংগঠনে জায়গা করে দেওয়া হচ্ছে। এমনকি লোহা, বোল্ডার মাফিয়াদের নিয়ে কারখানার গেটের সামনে সভা করেছেন ওই তৃণমূল নেতারা। পোস্টারে অভিযুক্তদের ছবিও তুলে ধরা হয়েছে। আর তা নিয়েই রাজনৈতিক মহলে জলঘোলা শুরু হয়েছে। এদিকে, পোস্টার প্রসঙ্গে আইএনটিটিইউসি নেতা দীপঙ্কর লাহা সরাসরি সাংবাদিকদের জানান, জেলা আইএনটিটিইউসির সভাপতি অভিজিৎ ঘটক দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ চলছে। সেক্ষেত্রে ঠিকাকর্মী নিয়োগ সহ সংগঠনের বিরুদ্ধে অন্যান্য অভিযোগ ভিত্তিহীন। একইসঙ্গে দলে কোন গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই বলেও জানিয়ে দেন তিনি। তবে এরই পাশাপাশি সরাসরি নাম করে এ ধরনের পোস্টারের পেছনে জেলা ইনটাক সভাপতি সুভাষ সাহা ও শ্রমিক নেতা বিকাশ ঘটকের প্রভাব প্রতিপত্তি জাহিরের তত্ত্ব খাড়া করেছেন জেলা আইএনটিটিইউসি কোষাধ্যক্ষ দীপঙ্কর লাহা। পালটায় জেলা ইনটাক সভাপতি সুভাষ সাহা এই অভিযোগ অস্বীকার করেন। একইসঙ্গে শ্রমিক নেতা বিকাশ ঘটকের ইনটাক যোগের ব্যাখ্যা উড়িয়ে তৃণমূল শ্রমিক নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তোলেন তিনি। তার কথায়, দুর্গাপুর মিশ্র ইস্পাত কারখানার সিজিএম ও তার সচিবের সঙ্গে যোগসাজশে একতরফাভাবে ঠিকা কর্মী নিয়োগ করে চলেছে আইএনটিটিইউসি। একইসঙ্গে এই নিয়োগে চরম অস্বচ্ছতার অভিযোগ তোলেন তিনি। তবে এরই পাশাপাশি ঠিকাকর্মী নিয়োগের নামে যাদের কারখানার ভেতরে কাজের সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে, তাদের পরিচিতি নিয়ে সরাসরি প্রশ্ন তুলেছেন জেলা ইনটাক সভাপতি সুভাষ সাহা। সেক্ষেত্রে কারখানার কোটি কোটি টাকার মালপত্র লুঠে ওই সব কর্মীদের একাংশের যোগ রয়েছে। ওইসব কর্মীদের পুলিশি রেকর্ড খতিয়ে দেখলেই সব পরিষ্কার হয়ে যাবে বলে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন তিনি। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কারখানা কর্তৃপক্ষ সহ কেন্দ্রীয় স্তরেও অভিযোগ জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে ইডি, সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে তদন্ত হলেই সবকিছু প্রকাশ্যে এসে যাবে বলে দাবি করেন জেলা ইনটাক সভাপতি সুভাষ সাহা।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button