অপরাধ দমনে প্রবীণ মহিলার সাহসিকতার প্রশংসায় পুলিশ

সংবাদ সফর, দুর্গাপুর, ২৬, মে: বয়সে প্রবীণ। কিন্তু তার সাহসিকতায় পিঠটান দিল চোরেরা। বর্ষিয়ান ওই মহিলাকে সাহসিকতার জন্য সম্মান প্রদর্শন করে পুলিশ প্রশাসন। দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের সিটিসেন্টারস্থিত এফ ২/৮ ইন্দ্রপ্রস্থ কো-অপারেটিভ আবাসন এলাকার বাসিন্দা ভক্তপদ সন্নিগ্রহী। গত বুধবার দুপুরে তার স্ত্রী লিপিকা সন্নিগ্রহী দেখেন পাশের বাড়িতে এক যুবক গ্রিল খুলে ভেতরে ঢুকেছে। অন্য এক যুবক বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে রয়েছে। সন্দেহ হওয়ায় তিনি যুবকদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। ওই যুবক বলেন, অনাদায়ী ঋণের জন্য বাড়িটি সিল করতে এসেছেন তারা। এর পরেই ওই মহিলাকে ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিতে বলেন তারা। কিন্তু ওই দুই যুবকের কথার অসঙ্গতিতে সন্দেহ জাগে লিপিকাদেবীর। ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে ফোন চালাচালি শুরু করেন তিনি। এদিকে, বিপদের আঁচ পেয়ে সেখান থেকে চম্পট দেয় ওই দুই যুবক। পরে সংশ্লিষ্ট পুলিশ প্রশাসনের কাছে খবর পৌঁছায়। বলাই বাহুল্য, লিপিকাদেবীর সাহসিকতায় বড়সড় চুরির ঘটনা আটকানো সম্ভব হয়েছে। লিপিকাদেবীর এ ধরনের সাহসিকতা প্রশংসিত হয়েছে পুলিশ মহলে। সোমবার দুর্গাপুর পুলিশ প্রশাসনের তরফে তাকে সম্মান জানানো হয়। তার বাড়িতে যান এসিপি(দুর্গাপুর) সুবীর রায়, দুর্গাপুর থানার ভারপাপ্ত আধিকারিক সঞ্জীব দে, দুর্গাপুর মহিলা থানার আধিকারিক স্নেহন্বিতা মণ্ডল, সিটিসেন্টার ফাঁড়ির আধিকারিক সুদীপ্ত বিশ্বাসরা। ওই মহিলার হাতে ফল,মিষ্টি ও পুষ্পস্তবক তুলে দেন পুলিশ কর্তারা। পুলিশ প্রশাসনের তরফে এ ধরনের সংবর্ধনায় খুশি লিপিকা সন্নিগ্রহী। এসিপি সুবীর রায় লিপিকাদেবীর সাহসিকতার প্রশংসা করেন। একইসঙ্গে সাধারণ মানুষজন এ ধরনের তাৎক্ষণিক বুদ্ধি ও সাহসিকতা দেখালে বড়সড় অপরাধ আটকানো সহজ হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেন ওই পুলিশকর্তা।