জেলা

ক্ষতিপূরণের অর্থ প্রদানের পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন পরিবারের

সংবাদ সফর, আসানসোল: প্রতিশ্রুতি মোতাবেক কাজ শুরু হয়েছে। ক্ষতিপূরণের প্রথম কিস্তির টাকাও এসে পৌঁছে গিয়েছে। কিন্তু খুশি নন কুম্ভ মেলায় মৃত বিনোদ রুইদাসের পরিবারের লোকজনেরা। উত্তর প্রদেশ সরকারের ক্ষতিপূরণ বাবদ অর্থ বরাদ্দ নিয়ে প্রশ্ন ওঠেনি। কিন্তু ক্ষতিপূরণের অর্থ প্রদানের প্রথাপদ্ধতি নিয়ে মৃতের পরিবারের সদস্যরা। উল্লেখ্য, গত জানুয়ারি মাসে প্রয়াগরাজে কুম্ভ মেলায় মৃত্যু হয় জামুড়িয়ার কেন্দা গ্রামের বিনোদ রুইদাসের। মেলায় মৃত মানুষজনের পরিবারকে ২৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দেয় উত্তর প্রদেশ সরকার। তারই প্রথম কিস্তির 5 লক্ষ টাকা পৌঁছায় মৃতের বাড়িতে। তিনজন পুলিশ সহ একজন সাদা পোশাকের ব্যক্তি নগদ পাঁচ লক্ষ টাকা তাদের হাতে তুলে দেন। সেক্ষেত্রে কোন সরকারি প্রমাণপত্র বা রশিদ ছাড়াই এই টাকা তুলে দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিনোদ রুইদাসের স্ত্রী। কোনরকম অর্থ প্রাপ্তির প্রমাণপত্র ছাড়া ওই টাকা ব্যাংকে রাখার ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়েছেন তারা। সেক্ষেত্রে নির্দিষ্ট নিয়ম নীতি মেনে ব্যাংক একাউন্ট মারফত টাকা প্রদানের দাবি তুলেছেন তারা। এদিকে, ক্ষতিপূরণের টাকা প্রদানের গোপনীয়তার অভিযোগে চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। উল্লেখ্য, কুম্ভ মেলায় পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় বিনোদ রুইদাসের। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি মৃতের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তেওয়ারি। সরাসরি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে মৃতের স্ত্রীর ফোনে যোগাযোগ করিয়ে দেন তিনি। ফোনে কথোপকথনে উত্তর প্রদেশ সরকারের ক্ষতিপূরণ বাবদ ২৫ লক্ষ টাকা যথাশীঘ্র পাইয়ে দেবার আশ্বাস দেন বিরোধী দলনেতা। সেই মোতাবেক ক্ষতিপূরণের প্রথম কিস্তির ৫ লক্ষ টাকা পৌঁছায় বিনোদ রুইদাসের বাড়িতে। সেক্ষেত্রে কোনরকম প্রমাণপত্র ছাড়া এই বিপুল পরিমাণ অর্থ নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন মৃতের বাড়ির লোকজনেরা। আর এসব নিয়েই কানাঘুষো শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে। স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃত্ব বা প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিদের অনুপস্থিতিতে এতগুলো টাকা নগদে প্রদান করা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে জনমানসে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button