শিল্পাঞ্চল

মুখ্যমন্ত্রীর নিষেধাজ্ঞা থোড়াই কেয়ার! দেদার বালি চুরি শিল্পাঞ্চলে

সংবাদ সফর, দুর্গাপুর: বালি চুরির বিরাম নেই। মুখ্যমন্ত্রীর নিষেধাজ্ঞাকে থোড়াই কেয়ার। পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নাকের ডগাতেই দেদার বালি চুরির ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শিল্পাঞ্চলে। দামোদরের সেচ ক্যানেলে অভিনব বালিচুরির ছবি প্রকাশ্যে আসতেই দাঁত নখ বার করতে শুরু করেছেন প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা। এই সেচ ক্যানেলের বালি বস্তাবন্দী করে মজুত করা হচ্ছে দুর্গাপুর নগর নিগমের ৪১ নং ওয়ার্ডের মহানন্দ কলোনিতে। শীতে এই ক্যানেলের জল কমে যায়। আর সেই সুযোগ কাজে লাগাতে তৎপর বালি চোরেরা। আর এই চুরির বালি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে অনায়াসেই এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত চলে যাচ্ছে। অথচ দিনে দুপুরে এ ধরনের বেআইনি কাজকারবার সত্বেও পুলিশ, সংশ্লিষ্ট প্রশাসন এমনকি শাসক নেতৃত্বের তরফে কোন উচ্চবাচ্য নেই। সেক্ষেত্রে সেটিং তত্ত্বের অভিযোগ উঠছে শিল্পাঞ্চলে। পুলিশ, প্রশাসন বা শাসক নেতৃত্বের নজর এড়িয়ে এসব কি করে সম্ভব ? প্রশ্ন তো উঠবেই। মহানন্দা কলোনির প্রায় গা ঘেঁষে কোক ওভেন থানা। গা লাগোয়া সেচ দফতর। মহল্লায় মহল্লায় শাসক নেতৃত্বের আনাগোনাও চলছে প্রতিনিয়ত। সেক্ষেত্রে পাশ কাটিয়ে যাওয়া তো অসম্ভব ব্যাপার। তবে শুধু দামোদরের সেচ ক্যানেল নয়, জেলাতে ফের মাথা ছাড়া দিচ্ছে বালি মাফিয়ারা। বিক্ষিপ্তভাবে বেআইনি বালি বোঝাই গাড়ি ট্রাক্টর আটক হচ্ছে বটে, কিন্তু বালি চুরি বা পাচার বন্ধ করা যায়নি- এসব ঘটনা তারই প্রমাণ। অথচ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কয়লা, বালি,লোহার বেআইনি কাজকারবার বন্ধে বারবার সরব হয়েছেন। কয়েক মাস আগে এসব বেআইনি কাজকারবারের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তিনি। বেশ কিছু পুলিশ কর্তা কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের বেশ কয়েকটি থানায় রদবদলও করা হয়। এমনকি এসব বেআইনি কাজকর্ম বন্ধে দলের নেতাদের বিরুদ্ধেও করা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাতেও যে কাজের কাজ কিছুই হয়নি দামোদর সেচ ক্যানেলে দিনে দুপুরে বেপরোয়াভাবে বালি চুরির ঘটনা তারই প্রমাণ। আর এসব নিয়ে সরব বিরোধী বিজেপি নেতৃত্ব। এ ধরনের বেআইনি কাজ কারবারের প্রত্যক্ষ মদনদাতা হিসেবে শাসক দলকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন তারা। তবে সংশ্লিষ্ট তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য এসবের দায় ঝেড়ে ফেলে পুলিশ পুলিশের কাজ করুক বলে নিদান হেঁকেছেন। কিন্তু তাতেও কি পরিস্থিতি বদলাবে? প্রশ্ন তো থেকেই যায়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button