সিদ্দিকুল্লার গ্রেফতারের দাবি দিলীপের

সংবাদ সফর, দুর্গাপুর, ৯ এপ্রিল: মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীকে গ্রেফতারের দাবি জানালেন দিলীপ। বুধবার দুর্গাপুরে প্রাতঃভ্রমণ সেরে জঙ্গিপুরের ঘটনা প্রসঙ্গে এমনই প্রতিক্রিয়া দেন প্রাক্তন সাংসদ তথা রাজ্য বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। একইসঙ্গে জঙ্গিপুরের ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূলের একটি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কার্যত মুসলিম তোষণের অভিযোগে সমালোচনায় সরব হন তিনি। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার দুর্গাপুরের রামনবমী উপলক্ষ্যে একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেন প্রাক্তন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এদিন, দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বিধাননগরে প্রাতঃভ্রমণে সেরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। ওয়াকফ সংশোধনী বিলের প্রতিবাদে জঙ্গিপুরে আন্দোলনকারীদের তাণ্ডবের অভিযোগে সরাসরি রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীকে দেশদ্রোহী আখ্যা দেন। একইসঙ্গে রাষ্ট্র বিরোধী আইনে তাকে গ্রেফতারের দাবি জানান তিনি। তার কথায়, সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীদের মতো সাম্প্রদায়িক, রাষ্ট্রদ্রোহী লোকদের কাঁধে ভর করে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় এসেছেন। তাই এদের মাথায় করে রেখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে সরব হন দিলীপ ঘোষ। উল্লেখ্য, ওয়াকফ সংশোধনী বিলের প্রতিবাদে মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরে সংখ্যালঘু সংগঠনের সদস্যদের বিক্ষোভ ঘিরে অশান্তি চরমে ওঠে। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোঁড়া ও পুলিশের গাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে। যদিও এই অশান্তির জন্য পুলিশেরই ওপর দায় চাপান রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। অন্যদিকে, ২০২২ সালে বিজেপির মিছিলে পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের তুলনা টানেন তিনি। দিলীপ ঘোষ বলেন, সেদিন এসএসকেএমে আহত পুলিশ কর্মীদের দেখতে এসে বিক্ষোপকারীদের কপালে গুলি করার কথা বলেছিলেন। সেক্ষেত্রে দম থাকে তো মুর্শিদাবাদে গিয়ে গুলি করার কথা বলুক অভিষেক। কিন্তু তাতে তৃণমূলের সরকারটা থাকবে না। তাই ভয়ে সকলেই মুখে কুলুপ এঁটেছে বলে জানান প্রাক্তন রাজ্য বিজেপি সভাপতি। বুধবার যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীদের চাকরি বাতিলের সুপ্রিম সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। একইসঙ্গে অযোগ্যদের জেলে পোরার নিদানও দেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি। এসবের পাশাপাশি যোগ্যদের চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে ও জোরালো সওয়াল করেন দিলীপ ঘোষ।