জেলা

টেন্ডার ছাড়াই চলছে টোল প্লাজা! নেপথ্য কারণ নিয়ে জল্পনা চরমে

সংবাদ সফর, আসানসোল:বিনা টেন্ডারেই টোল প্লাজা, টেন্ডার ছাড়াই চলছে পার্কিং প্লাজা। রীতিমতো অনিয়ম বেনিয়মের প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে পশ্চিম বর্ধমানে। একইসঙ্গে সরকারি রাজস্ব লুটের নজির সৃষ্টি হয়েছে জেলায়। দুর্গাপুরে পার্কিংয়ের পর এবার বাংলা ঝাড়খন্ড সীমান্তে রূপনারায়ণপুর টোল প্লাজা ঘিরে চরম অনিয়মের অভিযোগে সরগরম খনি শিল্পাঞ্চল। বছরের পর বছর টেন্ডার ছাড়াই একটি সংস্থা বা ব্যক্তিই টোল চালিয়ে যাচ্ছে। ২০১৪ সালের পর থেকে টোল প্লাজা রিনিউল বা এক্সটেনশনের কোনও তথ্য নেই বলে অভিযোগে রীতিমতো চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে অভিযোগকারী গোবর্ধন মন্ডলের প্রশ্ন, একই ব্যক্তি বা কোম্পানি কি করে এত বছর ধরে টোল প্লাজা চালাতে পারে ? কেন এত বছর ধরে টেন্ডার করানো হয়নি ? বছরের পর বছর টোলের এক্সটেনশন কি ন্যায়সঙ্গত ? কিসের কারণে টেন্ডার ছাড়াই একই ব্যক্তি বা সংস্থাকে টোল চালানোর দায়িত্ব দেওয়া হল? এ ব্যাপারে প্রশাসনিক স্তরে বারবার অভিযোগ জানিয়েও কোন জবাব মেলেনি। তবে আর টি আই করেও রি- টেন্ডার বা রিনুয়াল সংক্রান্ত কোন তথ্য নেই সরকারের কাছে বলে জানা গিয়েছে। গোবর্ধনবাবুর কথায়, এই অনিয়মের ফলে অন্যরা বঞ্চিত হচ্ছেন। তবে সর্বোপরি সরকারের রাজস্বের ক্ষতি হচ্ছে মারাত্মক ভাবে বলে মত তার। তবে টোল আদায়ের ক্ষেত্রেও চরম অব্যবস্থা ধরা পড়েছে রূপনারায়নপুর সীমান্তে। এ বিষয়ে জেলা পরিষদ সভাধিপতি বিশ্বনাথ বাউরির বক্তব্য, জেলা ভাগ হওয়ার পর প্রশাসনিক স্তরে অনেক কিছুই গুছিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়নি। ফলে এ ধরনের জট জটিলতার সম্মুখীন হতে হচ্ছে বলে জানান সভাধিপতি। তবে এলাকার বিধায়ক বিধান উপাধ্যায় বলেন, জেলা সভাধিপতির কাছে বিষয়টি জানবেন। মমতা, অভিষেকের রাজত্বে কোনও রকম দুর্নীতি বরদাস্ত করা হবে না প্রকারান্তরে জানিয়ে দেন বিধায়ক। বলেমেনে নেওয়া যাবে না। এ ব্যাপারে জেলা পরিষদের মেন্টর ভি শিবদাসন দাসু বলেন, টোলের টেন্ডার নিয়ে অনিয়ম বেনিয়মের অভিযোগের বিস্তারিত খোঁজখবর নেওয়া হবে। যদিও টোলের টেন্ডার না হওয়ার বিষয়টি তার অজানা নয়। সেক্ষেত্রে জেলা পরিষদের বিষয়ে নাক গলাতে চাননি তিনি। তবে বর্তমানে তিনি মেন্টর। সেক্ষেত্রে অনিয়ম বেনিয়ম সহ দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন বলে আশ্বাস দেন তিনি। এদিকে, এ ব্যাপারে সরকার সহ প্রশাসনের সর্বস্তরে দুর্নীতির অভিযোগে সোচ্চার হয়েছেন বিরোধীরা। সেক্ষেত্রে অবিলম্বে এই অপশাসন রুখতে সরকার বদলের ডাক দিয়েছে বিজেপি সহ কংগ্রেস। তবে বছরের পর বছর এ ধরনের অব্যবস্থা নেপথ্য কারণ কী? সরকারি রাজস্ব লুঠের নেপথ্য নায়ক কারা? সব জেনেশুনেও শাসক নেতৃত্ব বা প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিরা কীসের কারণে মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন ? এসব প্রশ্নে সরগরম খনি শিল্পাঞ্চল।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button