শিল্পাঞ্চল

খাসজমি দখলের অভিযোগে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তেজনা

সংবাদ সফর, দুর্গাপুর: খাস জমির দখলদারি নিয়েই তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ! আর তাতেই চরম উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিশাল পুলিশবাহিনী। আর এসব নিয়েই সরব বিজেপি। যদিও কোন বেআইনি কার্যকলাপ দল বরদাস্ত করবে না বলে জানিয়েছে শাসক শিবির। দুর্গাপুরে নিউ টাউনশিপ থানার জেমুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের পরানগঞ্জের একটি জমিকে ঘিরে বিতর্কের সূত্রপাত। অভিযোগ, ওই জমিটি সরকারি খাস জমি বলেই পরিচিত। রবিবার সকালে প্রোমোটাররা ওই জমির ওপর নির্মাণকাজ করতে আসেন। এলাকাবাসীরা তাতে বাধা দেন। দুই পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়ে যায়। পরে তা হাতাহাতির রূপ নেয়। স্থানীয় বাসিন্দা মুক্তি ঘোষের বক্তব্য, খাস জমি দখল নিচ্ছে প্রোমোটাররা। ওই জমি কেনাবেচার সময়ে তারা বাধা দেন। কিন্তু এলাকার তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশের প্রত্যক্ষ মদতে জমিটি হাত বদল হয় বেআইনিভাবে। ফলে দুর্গাপুরের বদলে আসানসোলে রেজিস্ট্রি করা হয়। একইসঙ্গে সরকারি খাস জমি এভাবে বিক্রিবাটা হলে এলাকার মানুষ চরম সমস্যার মুখে পড়বেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। যদিও স্থানীয় বাসিন্দা উত্তম গোপের দাবি করেন, তার কাকার নামে এই জমি রেকর্ড রয়েছে। সেক্ষেত্রে এখানে রিসোর্ট তৈরিতে অযথা বাধা দিচ্ছেন কেউ কেউ। এলাকায় উন্নয়ন বা রিসোর্ট হলে বেকার যুবক যুবতীরাই লাভবান হবেন বলে মনে করেন তিনি।

এদিকে, এ ব্যাপারে বিজেপির জেলা সহ সভাপতি চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ভাগবাটোয়ারা নিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ক্রমশই বেড়ে চলেছে। সরকারি খাস জমির দখলদারি ঘিরে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তারই প্রমাণ বলে দাবি ‌ ওই বিজেপি নেতার। যদিও পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক সুজিত মুখোপাধ্যায় বলেন, এসবে তৃণমূলের কোন যোগ নেই। যদি ওই জমিটি খাস জমি হয়, তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। একইসঙ্গে দলে কোন অবৈধ কার্যকলাপ বরদাস্ত করা হবে না বলেও জানিয়ে দেন ওই তৃণমূল নেতা।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button