রামনবমীতে বিজেপির অস্ত্র মিছিলের সমালোচনায় তৃণমূল

সংবাদ সফর, ৬ এপ্রিল, দুর্গাপুর ও আসানসোল: রামনবমীতে মাতল খনি শিল্পাঞ্চল। রবিবার দুর্গাপুরে বিশাল বাইক মিছিলের নেতৃত্ব দেন বিধায়ক লক্ষণ ঘোড়ুই। রামনবমী উপলক্ষে শহরের পূজার্চ্চনা, ভোগ আরতিতে অংশ নেন জেলা বিজেপি নেতা চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন, এমএএমসি রামনবমী উদযাপন কমিটির তরফে একটি অনুষ্ঠানেও যোগ দেন তিনি। প্রায় একইভাবে আসানসোলের বিভিন্ন এলাকায় বিজেপি সহ বিভিন্ন হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের তরফে রামনবমী সাড়ম্বরে পালিত হয়। রবিবার শহরের একটি অনুষ্ঠানে তলোয়ার, ত্রিশূল হাতে দেখা যায় বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালকে। এছাড়াও শহরের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বা শোভাযাত্রায় অস্ত্র হাতে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের ছবি ধরা পড়ে সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরায়। বার্নপুর সহ শিল্পাঞ্চল জুড়ে পুজোর আয়োজন করা হয়। বিভিন্ন আখড়া কমিটি শোভাযাত্রা বের করে। এদিন বার্নপুরে চিত্রা রেল গেটের কাছে রামনবমী উপলক্ষে পাগড়ি বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানেই উপস্থিত ছিলেন আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। তাকে একটি পাগড়ি এবং একটি তলোয়ার উপহার দেওয়া হয়েছিল। এ প্রসঙ্গে বিজেপি বিধায়ক বলেন, সনাতন ধর্মে প্রতিটি হিন্দু দেবতার হাতেই কিছু না কিছু অস্ত্র থাকে। এমন পরিস্থিতিতে সনাতন হিন্দু ধর্মের সঙ্গে অস্ত্রের পুরনো সম্পর্ক রয়েছে। একইসঙ্গে মুসলিম সম্প্রদায়ের মহরমের তাজিয়ায় অস্ত্রের তুলনা টানেন তিনি। সেক্ষেত্রে কেবলমাত্র আইন রক্ষার দায় হিন্দুদেরই পালন করতে হবে? এমনই প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন তিনি। একইসঙ্গে বাংলাদেশের প্রসঙ্গ টেনে বাংলায় হিন্দুদের দুরাবস্থার অভিযোগ করেন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। বিজেপি বিধায়কের মন্তব্য নিয়ে সমালোচনায় সরব হয়েছেন বার্নপুরের তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা আসানসোল পুরনিগমের কাউন্সিলর অশোক রুদ্র। তিনি বলেন, ধর্ম নিয়ে রাজনীতি ও বিভেদ সৃষ্টি করা বিজেপির কাজ। তবে এসবের জবাব বাংলার মানুষ দেবেন বলে জানান ওই তৃণমূল নেতা।