লুঠেরার ভূমিকায় পুলিশ! ব্যাপক চাঞ্চল্য শিল্পাঞ্চলে
সবুজ সফর : এবার লুঠেরার ভূমিকায় পুলিশ! তোলাবাজি ঘুষ দুর্নীতির অভিযোগে হামেশাই পুলিশ প্রশাসনের কর্তাকর্মীরা অভিযুক্ত হন। কিন্তু এবার কোটি টাকা ছিনতাইয়ে দুর্গাপুর থানার এক পুলিশ কর্তার নাম জড়ানোয় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শিল্পাঞ্চলে। আপাতত অসীম চক্রবর্তী নামের ওই পুলিশ কর্তাকে আটক করা হয়েছে। আটক পুলিশকর্তা অসীম চক্রবর্তী বর্তমানে দুর্গাপুর থানায় কর্মরত রয়েছেন। এ ঘটনায় জড়িত অন্যান্যদের সন্ধানে নেমেছে পুলিশ। আর জি করের আবহে পুলিশকর্তার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগে রীতিমত অস্বস্তিতে পড়বে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট, এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। বলাই বাহুল্য, দিল্লি নিবাসী এক রেলওয়ে কন্ট্রাক্টারের প্রায় দেড় কোটি টাকা লুটের অভিযোগ ওঠে দুর্গাপুরে। সংস্থার এক কর্মী টেন্ডারের জন্য ওই টাকা নিয়ে আসানসোল হয়ে কলকাতা যাচ্ছিলেন। হঠাৎই দুর্গাপুরের ডিভিসি মোড় এলাকায় লুঠেরাদের কবলে পড়েন তিনি বলে অভিযোগ। পিস্তল ঠেকিয়ে পুরো টাকাটাই লুঠেরারা নিয়ে চম্পট দেয়। ঘটনার অভিযোগ জানাতে থানায় এসে অভিযুক্ত পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর অসীম চক্রবর্তীকে দেখে চিনতে পারেন ঠিকাদার সংস্থার ওই কর্মী। তড়িঘড়ি ওই পুলিশকর্তাকে নিজেদের হেফাজতে নেয় পুলিশ কমিশনারেট। একইসঙ্গে একজন এ এস আই ও এক সাসপেন্ডেড পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধেও তদন্ত শুরু হয়েছে বলে খবর মিলেছে। বলাই বাহুল্য, দিন কয়েক আগে বিজেপির ডাকা বন্ধের দিন দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারে ব্যাপক বোমাবাজির ঘটনায় শিল্পাঞ্চলের সার্বিক নিরাপত্তা রক্ষায় পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকায় বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন দেখা দিয়েছে। বর্তমানে আর জি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। প্রতিদিনই প্রায় নিয়ম করে প্রতিবাদ আন্দোলনে সোচ্চার হয়েছেন বিরোধী সহ রাজ্যের সাধারণ মানুষজন। আরজি করের খুন ধর্ষণের ঘটনার ষড়যন্ত্রে সরাসরি কলকাতা পুলিশের যোগসাজসের অভিযোগে উত্তাল রাজ্য। আর এসবের মধ্যেই দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে কোটি টাকা লুঠে পুলিশ কর্তাকর্মীদের নাম জড়ানোয় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জনমানসে। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশই তল্লাশি শুরু হয়েছে সর্বস্তরে, দাবি আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের। তবে বর্তমান রাজ্য রাজনীতির অস্থির আবহে পুলিশ প্রশাসনের মুখ রক্ষা করা যে কঠিন ব্যাপার, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।