উচ্ছেদ নিয়ে রাজনীতি করছে রেল? প্রশ্ন উঠেছে জনমানসে
সংবাদ সফর, আসানসোল: মেয়রের আবেদনে সাড়া দেয়নি রেল প্রশাসন। তারই প্রমাণ মিলল বৃহস্পতিবার। এদিন, চিত্তরঞ্জনের আমলাদহি বাজারে অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ করতে আসেন চিত্তরঞ্জন রেল কতৃপক্ষ। যদিও বিজেপি বিধায়কের তৎপরতায় নমনীয় অবস্থান দেখান সংশ্লিষ্ট রেল কারখানা কর্তৃপক্ষ। আগামী ছট পুজো পর্যন্ত কোনও উচ্ছেদ অভিযান হবে না বলেও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের তরফে আশ্বাস মিলেছে বলে নিশ্চিতভাবে জানিয়ে দেন কুলটির বিজেপি বিধায়ক অজয় পোদ্দার। বলাই বাহুল্য, বুধবার এই উচ্ছেদ অভিযান আপাতত বন্ধ রাখার আবেদন জানান আসানসোলের মেয়র তথা বারাবনির বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়। উৎসবে দিনে উচ্ছেদ অভিযানে চরম ক্ষতির মুখে পড়বেন স্থানীয় ব্যবসায়ী ও দোকানদাররা বলে জানান তিনি। একইসঙ্গে ওই সব ব্যবসায়ীদের যথাযথ পুনর্বাসনের দাবিও তোলেন মেয়র। সেক্ষেত্রে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে বিষয়টি বিবেচনার আশ্বাস মেলে। কিন্তু তার ২৪ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই বৃহস্পতিবার লোকলস্কর নিয়ে আমলাদহি এলাকায় উচ্ছেদ অভিযানে নেমে পড়ে সিএলডব্লু কর্তৃপক্ষ। তবে আপাতত কুলটির বিজেপির বিধায়কের হস্তক্ষেপে বরফ গলেছে বলে মনে করছেন স্থানীয় মানুষজন। এদিন, খবর পেয়ে সিএলডব্লু কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসেন বিজেপি বিধায়ক অজয় পোদ্দার। তার কথায়, আগামী ছটপূজা পর্যন্ত উচ্ছেদ হবে না । এমনই আশ্বাস দিয়েছে সংশ্লিষ্ট রেল প্রশাসন বলে জানান বিজেপি বিধায়ক। তবে এসব নিয়ে রাজনীতি করা উচিত নয় বলে জানান মেয়র তথা তৃণমূল বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়। একইসঙ্গে বিজেপির বিরুদ্ধে ঘোলা জলে মাছ ধরার মৃদু কটাক্ষও ছুঁড়ে দেন তিনি। এসব নিয়ে তেমন কোনও রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া মেলেনি বিজেপি বিধায়কের তরফে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট রেলকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব না হলেও উচ্ছেদের অবস্থান নিয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষের কর্মকান্ডে প্রচ্ছন্ন রাজনৈতিক সমীকরণ রয়েছে বলে মনে করছেন অনেকেই। তৃণমূলের আবেদনে সাড়া মেলেনি। কিন্তু বিজেপির আবেদনে রেল প্রশাসনের সদিচ্ছা প্রকাশে জল্পনা শুরু হয়েছে জনমানসে। এদিকে, রেলের উচ্ছেদ অভিযানের আতঙ্কে বেশ কিছু দোকানদার নিজেরাই তাদের দোকান ভাঙতে শুরু করেছেন। আগামীদিনে তাদের ভবিষ্যত কী- তা নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছেন স্থানীয় দোকানদাররা।